ঢাকার স্টার কাবাবের কর্মচারীরা এক গ্রাহকের গায়ে হাত তুলে তাকে আহত করেছে। পচা মাংসের কাবাব দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে এসব ঘটেছে। স্টার কাবাবে বনানী শাখায় ঘটা এই ঘটনায় আহত ব্যক্তি একজন সাংবাদিক। এ ঘটনায় মামলা হলে স্টার কাবাবের ১১জন কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে স্টার কাবারেব পক্ষ থেকে আহত সাংবাদিক মোঃ রশিদ অলককে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যয় ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ক্ষমার শর্তস্বরূপ এক হাজার এতিমকে একবেলা বললে খাবার দিতে বলেন অলক। সে অনুযায়ী ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর এর মধ্যে ১০০০ এতিম শিশুকে একবেলা উন্নত মানের খাবার খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্টার কাবাব।
বর্তমান সময়ে সমালচনার ভেতর দিয়ে গেলেও স্টার কাবাবের পথচলা অনেক পুরোনো। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই পুরান ঢাকার ছোট্ট একটি গলিতে যাত্রা শুরু হয়েছিল স্টার কাবাব হোটেল এবং রেস্টুরেন্টের। তাদের পথ চলা শুরু হয়েছিল একটি বেকারির মাধ্যমে। আজ থেকে প্রায় ৫৮ বছর আগের কথা। রেস্টুরেন্টের মীর মমতাজ উদ্দিনের বাসার নিচেই ছিল বেকারি। হাটারি বাজার স্টার হোটেলের বর্তমান মালিক মীর আখতার উদ্দিনের দাদার একটা ছোট খাবারের দোকান ছিল। সেটার উল্টো পাশে তার বাবা মীর মমতাজ উদ্দিন শুরু করেন তাজ বেকারি।
১৯৬৫ সালের আগে মমতাজ উদ্দিন করাচি থেকে চা বানানোর নতুন একটি কৌশল শিখে আসেন। সেই কৌশল এত জনপ্রিয় হয় যে সোসাইটি নামে একটি হোটেলই দাড় করে ফেলেন রাতারাতি। তবে সেই হোটেল খুব দ্রুত তাদের হাতছাড়া হয়ে যায়। পারিবারিক সম্পত্তি ভাগাভাগির কারণে । এরপর ১৯৬৫ সালে আরেকটি বাড়ি ভাড়া করে মমতাজ উদ্দিন শুরু করেন স্টার হোটেল। সেই সময় ইংরেজি নামের দোকানের চল তেমন ছিল না বললেই চলে।
বর্ধমান অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং স্টার কাবাব এর সঠিক উদ্যোগের ফলে স্টার কাবাব এই স্থানে এসে পৌঁছেছে।