তিনটি বড় মুসিবত (musibot)

            হযরত আবূ হূরায়রা রাযি. বলেন, মুসলমান হওয়ার পরে আমার উপর তিনটা বড় মুসিবত এসেছে। এমন মুসিবত আমার জীবনে আর আসেনি। একটি হলো নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তেকাল। দুই. হযরত উসমান গণী রাযি. এর ইন্তেকাল। তিন. আমার থলে হারানের মুসিবত। লোকেরা বললো , প্রথম দু’টি মুসিবত হওয়া তো বুঝে আসলো। কিন্তু থলে হারানো কেমন মুসিবত তা তো বুঝে আসলো না।

             হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. বললেন , এক সফরে আমি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ছিলাম। নবীজী জিজ্ঞেস করলেন, হে আবূ হুরায়রা! তোমার কাছে কি কোনো খাবার আছে? আমি বললাম, থলের মধ্যে কিছু খেজুর আছে। হুজুর বললেন, নিয়ে আসো। আমি থলে থেকে খেজুর বের করে নবীজীর খেদমত পেশ করলাম । নবীজী খেজুর গুলোর উপর হাত লাগালেন এবং বরকতের দোয়া করলেন।

              এর পর বললেন, দশজনকে ডেকে আন। আমি দশজন ডেকে আনলাম। তারা পেট ভরে খেজুর খেল। পরে আরো দশজন এলো। তারাও পেট ভরে খেজুর খেল। এভাবে দশজন করে এসে পূর্ণ বাহিনী পেট ভরে খেজুর বক্ষণ করলো। এরপরও থলেতে খেজুর রয়ে গেল। নবীজী বললেন, হে আবূ হুরায়রা ! যখন তুমি থলে থেকে খেজুর বের করতে চাও তাহলে হাত ঢুকিয়ে বের করবে, থলে উল্টাবে না।

          হযরত আবূ হযরায়রা রাযি. বলেন, নবীজীর এ নির্দেশ মত আমি থলে থেকে খেজুর বের করে নবীজীর সারা যিন্দেগী খেয়েছি।এরপর আবূ বকর রাযি. এর সারা যিন্দেগী । ওমর রাযি. এর সারা যিন্দেগী । উসমান রাযি. এর সারা যিন্দেগী। আমি সেই থলে থেকে খেজুর খেয়েছি। অবশেষে উসমান রাযি. এর শাহাদাতের দিন আমার মাল-সামানা লুট হয়। সে সাথে আমার এই বরকতী থলেও হারিয়ে যায়।

হযরত আলী  (রা.) এর পরিচয়

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্ম ও শৈশব

এপ্রিল ফুল কিভাবে এসেছে?

Leave a Comment