বাংলাদেশের বিভিন্ন এয়ারক্রাফ্টের টয়লেটে, সিটে এমনকি কার্গো হোল্ডে স্বর্ণ পাওয়া একটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এত এত স্বর্ণের বার পাওয়া গেছে যে কেউ রসিকতা করে ঢাকার বিমানবন্দর কে স্বর্ণের খনিও বলে থাকেন। তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এত স্বর্ণ সবগুলো বহনকারী ফ্লাইট কিন্তু দুবাই থেকেই আসা। তাই স্বাভাবিকভাবে বোঝা যায় যে স্বণের আসল উৎস হচ্ছে দুবাই। কিন্তু দুবাইতে এত স্বর্ণ আসেই বা কোথা থেকে?
দুবাইয়ের ৯৫ ভাগ স্বর্ণই আসে আফ্রিকার দেশ সুদান, দক্ষিণ সুদান, মধ্য আফ্রিকা এবং কঙ্গো থেকে। এই দেশগুলো সংঘাতপূর্ণ হওয়ায় পুরোপুরি স্থানীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই এবং স্থানীয় চোরাচালানকারীরা এই সুযোগটাই গ্রহণ করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা স্বল্প মূল্যে অবৈধভাবে উত্তোলন করা অপরিশোধিত স্বর্ণগুলো দুবাইতে পাচার করে দেয়। এ থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই বিভিন্ন দেশের বিদ্রোহীগোষ্ঠীগুলো তাদের সরকার বিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে যায়।
রয়েটার্সের তথ্যমতে ২০১৬ সালে আরব আমিরাত ২৫ টি আফ্রিকান দেশ থেকে ৭.৪ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণ আমদানি করেছে। খনিজ সম্পদ প্রায় শেষ হওয়ার কারণে আরব আমিরাত তাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখার জন্য এসব দেখেও না দেখার ভান করে।
স্বর্ণ কোথায় পাওয়া যায়? এবং কিভাবে উত্তোলন করা হয়?