পার্ট আর ভুট্টা থেকে তৈরি হচ্ছে লাখ লাখ টাকার পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ। পরিবেশবান্ধব এসব ব্যাগ পলিথিনের বিকল্প। এক কেজি পাট থেকে ১০০ পিস ব্যাগ বানানো যায়। প্রতিদিন এমন ১০ লাখ ব্যাগ তৈরি করা সম্ভব। পরিবেশবান্ধব এই ব্যাগ তৈরির পেছনে আছে বিজ্ঞানী মোবারক আহমেদ খান। পাটের তৈরি অবিশ্বাস্য সব আবিষ্কারের জন্য সারা বিশ্বে তিনি জুটম্যান হিসেবে পরিচিত। পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহারের পর এগুলো মাটিতে ফেললে মাটির সঙ্গে মিশে জৈব সার হয়ে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করবে। রাস্তাঘাটে ফেললে সেটার ড্রেনে পৌছালেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না। কারণ কিছুদিন পরে পানির সাথে মিশে মাছের খাদ্যে পরিণত হবে।
পাটের তৈরি এসব ব্যাগ থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আসবে। ইউরোপ- আমেরিকায় সোনালী ব্যাগের চাহিদা আকাশচুম্বী। সোনালী ব্যাগের কারণে পাটের স্বর্ণযুগ ফিরে আসবে। কৃষকেরা পার্ট উৎপাদনে উৎসাহিত হবে। তৈরি হবে কর্মসংস্থান। ২০১৬ সালে বিজ্ঞানী ডঃ মোবারক আহমেদ খান পাটের তৈরি ব্যাগ আবিষ্কার করেন। বর্তমানে ঢাকার ডেমরায় শীতলক্ষয় নদীর তীরে সরকারি লতিফ বাওয়ালি জুট মিলে সীমিত পরিসরের জন্য চলছে সোনালী ব্যাগের উৎপাদন। বর্তমানে কারখানায় কাজ করছেন দুই বিজ্ঞানী সহ কয়েকজন শ্রমিক। বড় পরিসরে সোনালী ব্যাগ- এর উৎপাদন শুরু হলে পাটের ঐতিহ্য ফিরে আসা শুধু সময়ের ব্যাপার।