পিতার খেদমতের ফজিলত প্রসঙ্গে

হযরত আবু উমামা রাযি. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন ঘোষণা দিলেন যে, তোমরা ওই বস্তিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নাও, যেখানে অধিবাসীরা জালিম। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা তোমাদের বিজয় দিবেন। এখানে বস্তি দ্বারা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উদ্দেশ্যে ছিল খায়বর, সাথে সাথে নবীজি কেউ বলেন যে, কেউ যেন আমার সাথে অবাধ্য বা দুর্বল বাহন না আনে।

এ ঘোষণা শুনে হযরত আবু হুরায়রা রাযি. মায়ের কাছে গেলেন। মাকে বললেন, আমার সফরের সরঞ্জামাদি ভাজ করে দিন। নবীজি যুদ্ধে যাওয়ার হুকুম দিয়েছেন। এ কথা শুনে মা বললেন তুমি যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছ, অথচ তুমি জানো যে, আমি তোমাকে ছাড়া ঘর থেকে বাহিরে আসা-যাওয়া করতে পারি না। হযরত আবু হুরায়রা রাযি. বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে পিছাতে পারবো না । তার মা তাকে দুধের দোহাই দিয়ে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিলেন। আবু হুরায়রা রাযি. মানলেন না। 

তার মা গোপনে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে হাজির হলেন এবং হযরত আবু হুরায়রা রাযি. এর সাথে যা হয়েছে  তা জানালেন। সব শুনে নবীজি বললেন, তুমি যাও। তোমার কাজ হয়ে যাবে। তোমাকে থাকতে হবে না। তখন হযরত আবু হুরায়রা রাযি. এর মা চলে আসলেন। কিছুক্ষণ পর যখন হযরত আবু হুরায়রা রাযি. নবীজির খেদমতে হাজির হলেন। তখন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় চেহারা মোবারক অন্যদিকে ফিরিয়ে রাখলেন। কে দেখে হযরত আবু হুরায়রা রাযি. বললেন, ইয়া রাসুল আল্লাহ! আমি দেখেছি, আপনি আমার প্রতি কেমন যেন অসন্তুষ্ট। হয়তো এখন  আপনার কাছে আমার ব্যাপারে কোন নালিশ এসেছে। এ জন্যই আপনি এমন করেছেন।

নবীজির সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার মা তোমাকে দুধের দোহায় দিয়ে যুদ্ধে যেতে যেতে না করেছেন। তারপরও কেন তুমি মায়ের কথা মানো নি? তুমি কি মনে কর যে- মা- বাবার সেবা করা এটা আল্লাহর রাস্তার কাজ নয়! জেনে রাখ, কোন মানুষ যদি মাতা পিতার সেবা করে এবং তাদের কাছ থেকে তাদের সাথে উত্তম আচরণ করে তাহলে সেও আল্লাহর রাস্তায় আছে। হযরত আবু হুরায়রা রাযি. বলেন, এরপর আমার মা দুই বছর জীবিত ছিলেন। এ দুই বছর আমি কোন জিহাদে শরিক হয়নি। মায়ের সেবা করেছি। 

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবেসে থাকলে পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন এবং নিচে কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানাবেন। আল্লাহ হাফেজ!

হযরত আলী  (রা.) এর পরিচয়

হযরত ঈসা (আ.)- এর অবতরণ 

ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবনী যিনি গ্রামীন ব্যাংক এর প্রতিষ্ঠাত।

Leave a Comment