ফুসফুসের ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা-
সব ধরনের ক্যান্সারের মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। আমাদের দেশে পুরুষের ক্যান্সার জনিত মৃত্যুর প্রধান কারণ ফুসফুস ক্যান্সার। যক্ষা বা কোন ধরনের নিউমোনিয়া ফুসফুসের এক ধরনের ক্ষত সৃষ্টি করে যা পরবর্তীতে ক্যান্সারের রূপান্তরিত হয়।
ফুসফুসে ক্যান্সার রোগের কারণ–
ফুসফুস ক্যান্সারের অন্যতম কারণ ধূমপান। বায়ু ও পরিবেশ দূষণ এবং বাসস্থান অথবা কর্ম ক্ষেত্রে দূষণ ঘটাতে পারে এমন সব বস্তুর যেমন আর্সেনিক, ক্রোমিয়াম, নিকেল, কঠিন ধাতুর গুড়া ইত্যাদির সংস্পর্শে আসার কারণেও ফুসফুসে ক্যান্সার হয়।
ফুসফুসের ক্যান্সার এর লক্ষণ
ফুসফুস ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো যত দ্রুত তার সাথে নির্ণয় করা যায় এবং চিকিৎসা প্রদান করা যায়, তত বেশি দিন বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। প্রাথমিক অবস্থায় যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায় তা হল-
১. দীর্ঘদিন ধরে খুশখুসে কাশি ও বুকে ব্যথা।
২. ভগ্নস্তর, ওজন হ্রাস এবং ক্ষুধামান্দ্য।
৩. হাঁপানি, ঘন ঘন জ্বর হওয়া।
৪. বারবার ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়া দিয়ে সংক্রমিত হওয়া।
ক্যান্সার রোগের প্রতিরোধ
বিশেষজ্ঞদের মতে. ক্যান্সার প্রতিরোধে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে তা হল-
ক. নিয়মিত ব্যায়াম করা।
খ. অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাদ্য না হওয়া।
গ. ধূমপান ও মদ্যপান না করা।
ঘ. পরিমাণ মতো শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।
ক্যান্সার রোগ প্রতিকারের উপায়
রোগের লক্ষণগুলো দেখা গেলে অনতিবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
প্রয়োজন এ রেডিয়েশন থেরাপি প্রয়োগ করা, যেখানে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের মাধ্যমে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করা হয়।
রোগ নির্ণয়ের পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সুচি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
ক্যান্সার রোগ নির্ণয়
প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সারের সম্ভবতা যাচাইয়ের জন্য থুথু বা স্লেষা , বিশ্লেষণ করা বুকের এক্সরে, সিটি স্ক্যান, এম আর আই ইত্যাদি করতে হয়। চূড়ান্ত রোগ নির্ণয়ের জন্য সাধারণত ও হিস্টোপ্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করতে হয়