৪৪তম বিসিএস ভাইভা অভিজ্ঞতা:
সালাম দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করার পর বসতে বললেন।
<>চেঃ আপনার নাম উল্লাস পাল?
➤আমিঃ জ্বি স্যার।
<>চেঃ স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি কোথায় কী পড়েছি জিজ্ঞেস করলেন
➤আমিঃ ডিটেইলস বললাম।
<>চেঃ আবার জিজ্ঞেস করলেন অনার্স, মাস্টার্স কোথা থেকে করেছেন?
➤আমিঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বললাম। এরপর বললেন গুড।
()এক্স ১ঃ আচ্ছা আপনিতো ম্যানেজমেন্টের। অফিস ম্যানেজমেন্টের কয়েকটা টুলস বলেন।
➤আমিঃ কয়েকটা বলার পর আর মনে আসছিলোনা দেখে সরি স্যার বললাম। এখন আর মনে পড়ছে না।
()এক্স ১ঃ আপনার প্রথম পছন্দ কী?
➤আমিঃ স্যার বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার।
()এক্স ১ঃ আচ্ছা কেনো এখানে আসতে চান বলেন।
➤আমিঃ স্যার কারণগুলি আমি ২ ভাগে ভাগ করেছি।
এক) ব্যক্তিগত কারণ,
দুই) সাবজেক্ট রিলেটেড কারণ।
এরপর দুই ধরনের কারণ ব্যাখ্যা করলাম। স্যার শুনলেন এবং খুশি হলেন।
()এক্স ১ঃ প্রশাসনের নিচ থেকে উপরের পদসোপানগুলো বলেন।
➤আমিঃ মাঠ আর কেন্দ্রীয় আলাদাভাবে উত্তর দিলাম।
[]এক্স ২ঃ আপনার শারীরিক সমস্যাটা জন্মগতভাবে হয়েছে?
➤আমিঃ জ্বি স্যার।
[]এক্স ২ঃ আপনি কী বলতে পারবেন কারণগুলো?
➤আমিঃ বুঝিয়ে বললাম।
[]এক্স ২ঃ আচ্ছা এর আগে আপনি বললেন আপনার মধ্যে ম্যানেজারিয়াল ও লিডারশিপ কোয়ালিটি আছে। বলেন লিডার ও ম্যানেজারের মধ্যে পার্থক্য কী?
➤আমিঃ উত্তর দিলাম।
[]এক্স ২ঃ বর্তমানে একজন সেরা বিজ্ঞানীর নাম বলেন যার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।
➤আমিঃ স্টিফেন হকিংয়ের নাম বলে বললাম উনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
[]এক্স ২ঃ আপনি এমবিএ করেছেন। ফুল ফর্ম কী?
➤আমিঃ হঠাৎ চমকিত হয়ে যেয়ে প্রথমবার ভুল উত্তর দিয়ে পরেরবার সঠিকভাবে বললাম।
<> চেঃ আপনি এখন কোথায় চাকরি করছেন?
➤আমিঃ স্যার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে আছি।
<>চেঃ ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন দেই, কত টাকা, প্রবাসী ছাড়া আর কাউকে দেই কিনা লোন, ডিফল্টার কত শতাংশ এসব অনেককিছু জিজ্ঞেস করলেন।
➤আমিঃ সবগুলোর উত্তর দিলাম।
<>চেঃ বর্তমানে প্রবাসীরা অনেকরকম সমস্যার সম্মুখীন। কারণগুলি বলেন।
➤আমিঃ ব্যাংকে আছি তাই ইন্টারনাল কারণগুলি বললাম। স্যার পরে মাথা নেড়ে বললেন ঠিক বলেছেন। এটাই আসল কারণ। কয়েকবার মাথা ঝাঁকালো।
➤এছাড়াও আরও কয়েকটা প্রশ্ন ছিলো ওভারঅল।
➤এরপর আমাকে উইশ ইউ অল দ্যা বেস্ট বলে কাগজপত্র নিয়ে যেতে বললেন স্যার। সালাম দিয়ে বের হলাম।
উল্লাস পাল
সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট