ব্ল্যাক মাম্বার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকছে আজকের এই প্রতিবেদনে-
পৃথিবীর সবচেয়ে অন্যতম দ্রুতগামী এবং ভয়ংকর সাপ ব্ল্যাক মাম্বার। এই সাপের কামড়ে মাত্র ২০ মিনিটেই মারা যেতে পারে যে কোনো প্রাণী। এই সাপ শুধু কামড়ই দেয় না, এটি বিষ ছুঁড়তে পারে খুব দ্রুত গতিতে যার কারণে বেশির ভাগ প্রাণীই অন্ধ হয়ে যায় এমনকি মারাও যেতে পারে। ধারণা করা হয় প্রতিবছর মারাত্মক বিষধর সাপের কামড়ে শিকার হন প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। যার মধ্যে প্রায় ১ লাখ প্রাণ হারায়। এর মধ্যে ৪ লাখ মানুকে পঙ্গুত্ব করার জন্য দ্বয়ী এই সাপ।আমরা জানতে চলেছি কিছু বিষাক্ত সাপ সম্পর্কে –
অস্ট্রেলিয়ার বিশাল অরণ্যে বাস করা সাপ টাইগার স্নেক। এর গায়ের রং বাদামী এবং কালো ডোরাকাটা যা দেখে সহজেই চেনা যায়। এ সাপের নিউরোটক্সিন ও হেমোটক্সিনের বিষয়ের সংমিশ্রণে মানুষের রক্তে ও স্নায়তন্ত্রে আক্রমণ করে। এই সাপের কারণেও মৃত্যু হতে পারে তবে, যদি কাউকে দ্রুত চিকিৎসা করা হয় তাহলে তার প্রাণ রক্ষা করা যেতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার আরেক টি সাপ হলো ডেথ অ্যাডার। এ সাপটি দ্রুতার কারণে সাপটিকে ভয়ঙ্কর সাপ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ধরনের সাপের কামড়ে নিউরোটক্সিক বিষ স্নায়ুতন্ত্রের উপর দ্রুত আঘাত করতে সক্ষম। এ সাপটির বিষ অত্যন্ত মারাত্মক হলেও মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কম।
ফিলিপাইনের উপকূলীয় অঞ্চলে ফিলিপাইন কোবরা অত্যন্ত বিখ্যাত তার তীব্র বিষ এর কারণে। সাপটি দেখতে হলুদাভ বাদামী তবে লম্বায় ছোট আকৃতির। এই সাপের নিউরোটক্সিক বিষের কারণে মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হয়। বহু লোকের মৃত্যুর কারণ হতে পারে এই সাপ যদি সময়মতো এর চিকিৎসা না করা হয়।
মধ্যপ্রাচ্য এবং ভারতের মরুভূমি অঞ্চলের এক বিষধর এবং ভয়ংকর সাপ স-স্কেলড ভাইপার। এর গায়ের রং বাদামী বা ধূসর রঙের এবং দেখতে ছোট ও আক্রমণাত্মক হওয়ার কারণে মরুভূমির বালুতে নিজেকে সহজেই লুকিয়ে রাখতে পারদর্শী। এই সাপের হেমোটক্সিন বিষের কারণে রক্ত জমাট বাধা এমন কে মাংসের পচন ধরে যায়। এই সাপের কামড়ে প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়।
বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত সাপ রাসেলস ভাইপার। দক্ষিণ এশিয়ার বিপদজনক সাফ হিসেবে গণ্য করা হয় রাসেলস ভাইপারকে। সাপটি দেখতে হলুদ- বাদামি রঙের। এর শরীরে হেমোটক্সিন বিষ অভ্যন্তরীণ রক্তপাত এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সক্ষম। এর বাংলা নাম চন্দ্র গোড়া। এই সাপটি দ্রুতগতিতে আক্রমণ করে।