মদিনার বুকে রহস্যময় জ্বীন পাহাড়

মদিনার বুকে রয়েছে রহস্যময় জ্বীন পাহাড়। ইন্জিন নিউট্রাল রেখে আপনি গাড়িতে বসে আছেন, তবুও গাড়ি চলছে। এটা কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়, কারণ গাড়ি চলে উল্টো দিকে। শুধু চলছে বললেও ভুল হবে, ধীরে ধীরে গাড়ির গতিও বৃদ্ধি পায়। তখন চালকের কাজ শুধুমাত্র স্টিয়ারিং ধরে ডানে-বামে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ রাখা। এমন অসাভাবিক ঘটনা ঘটে মদিনার রহস্যময় জ্বীন পাহাড়ে। রহস্যময় এই পাহাড়কে অনেকে জ্বীন পাহাড় বলে আবার আরবরা এই পাহাড়কে ওয়াদি আল আবইয়াজ বা ওয়াদি আল বায়জা নামে চিনে। ওয়াদি শব্দের অর্থ ছোট খাল। এই পাহাড়ের নিকট দিয়ে একটি শুকনো, পানিশূন্য খাল বয়ে গেছ। তবে বৃষ্টির সময় জমা হওয়া এখানকার পানিগুলো বেশি মিষ্টি।

সৌদি সরকার ২০০৯-১০ সালের দিকে ওয়াদি আল বায়ঝায় একটি রাস্তা বানোর পরিকল্পনা করেন। কিন্তু ত্রিশ কিলোমিটার পর্যন্ত কাজ করার পর নির্মাণের যন্ত্রপানি আস্তে আস্তে মদিনা শহরের দিকে নিজে নিজে চলতে শুরু করায় নির্মাণ শ্রমিকরা ভয় পেয়ে এইকাজ চালিয়ে যেতে অস্বীকার করে। এর ফলে, রাস্তাটি ২০০ কিলোমিটার হওয়ার কথা থাকলেও, ৪০ কি মি করার পর কাজ বন্ধো করে দেয়া হয়। ওয়াদি আল আবইয়াজ, ওয়াদি আল বায়জা বা জ্বীনের পাহাড়টি মদিনা শহর থেকে ৪৫ কি মি উত্তর-পশ্চিম অবস্থিত। এই পাহাড়ের মাঝখানে দিয়ে বয়ে চলেছে পিচঢালা রাস্তা, যেখানে লুকিয়ে রয়েছে অপার বিস্ময়।এখানে গাড়ির ইন্জিন নিউট্রালে রেখে দিলেও গাড়ি চালুর দিকে না গিয়ে বিপরীত দিকে চলতে থাকে।

একটা সময় গাড়ি নিজে থেকেই ৮০-১০০ কি মি বেগে চলতে শুরু করে। এর পরিবর্তে বোতল বা জুতা রেখে দিলে সেগুলোও ঢালুর বিপরীতে গড়ায়, পানিও এর দিকেই গড়ায়। ওয়াদি আল জ্বীন অঞ্চলে প্রবেশের সময় গাড়িকে কিছুটা বেগ পেতে হয়। কিন্তু নামার সময় শুধু স্টিয়ারিং ধরে ডানে বামে আপনার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করলেই হয়। পাহাড়ের ঢালে দাড়ালে মনে হবে কেউ আপনাকে ধাক্কা দিচ্ছে। সৃষ্টির এই অপার রহস্য নিয়ে রয়েছে নানাজনের নানা মতামত।

ব্রাজিলের হলুদ জার্সির ইতিহাস

Leave a Comment