বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ফলে এখন ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭ টি ধারার অধীন অপরাধগুলোর আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়া সেনাবাহিনীর কমিশন প্রাপ্ত কর্মকর্তারা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পাওয়া সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতি কোন অপরাধ সংগঠিত হলে তারা অপরাধীকে গ্রেফতার করতে অথবা গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারবেন।
সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা আইনের ধারা অনুযায়ী অপরাধিদের বিরুদ্ধে তল্লাশি সহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা নিতে পারবেন। শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এর বিধান করতে পারবেন তারা। স্থানীয় উপদ্রব্য কিংবা জনসাধারণকে উপদ্রব থেকে রক্ষা করতেও বিভিন্ন আদেশ জারি করতে পারেন । সেনাবাহিনীর কমিশন প্রাপ্ত অফিসাররা পারবেন বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার আদেশ দিতে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, দেশে বর্তমানে কিছু কিছু এলাকায় বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলগুলোতে নাশকতা এবং দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের মত কর্মকাণ্ড ঘটছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির উন্নতি এবং অবতরণের মোকাবেলার জন্য সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।