রৈখিক বসতি কি ও এর শাখা সমূহ

নদীবহুল বাংলাদেশের নদীর তীরবর্তী উঁচু স্থান, খালের কিনারা এবং রাস্তার পাশে সাধারণত রৈখিক ধরনের বসিতি দেখা যায়। এ ধরনের বসতিগুলোর মধ্যে কিছুটা ফাঁকা স্থান থাকে। এই স্থানটুকু কৃষি খামার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বন্যামুক্ত উঁচু ভূমিতে এ ধরনের বসতি গড়ে ওঠে। এ ধরনের বসতি সোজা হয় না। অনেক ক্ষেত্রে উঁচু ভূমি আকৃতির বন্ধুরতাকে অনুসরণ করে।

অবস্থান: অপরিণত ব-দ্বীপ অঞ্চল , পরিণত ব-দ্বীপের নিম্ন অঞ্চল এবং সক্রিয় ব-দ্বীপ অঞ্চলে এ ধরনের বসতি দেখা যায়। মহানন্দা, তিস্তা, যমুনা, পদ্মা, এবং মেঘনা নদীর রৈখিক সমভূমি অঞ্চলে এ ধরনের বসতি পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া পাহাড়ের পাদদেশেও এ ধরনের বসতি রয়েছে। যেমন- সিলেটের দক্ষিণাংশ, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি অঞ্চল। এ সকল স্থানের যেখানে ভূভাগের নিজটে পানীয় জলের পর্যাপততা রয়েছে এবং কৃষিকার্য সহজ সেখানে রৈখিক ধরনে বসতি গড়ে উঠেছে। রৈখিক জনবসতিকে দুেই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

(ক) সরল রৈখিক বসতি।

(খ) বক্র রৈখিক বসতি

(ক) সরল রৈখিক বসতি: নদীর তীর প্রবাহিত জলধারা এবং বড় রাস্তার পাশে সমান্তরালভাবে এ ধরনের বসতি গড়ে ওঠে।

(খ) বক্র রৈখিক বসতি: শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট নদী ও রাস্তার বক্রতার ওপর নির্ভর করে বক্র রৈখিক বসতি গড়ে ওঠে।

বর্তমান শিক্ষকের যে ভাবে পদত্যাগ করাচ্ছে শিক্ষার্থীরা..

রোহিলা নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত

Leave a Comment