সকল জাহাজের রাজা বোকা ভ্যানগার্ড
বোকা ভ্যানগার্ড এমন একটি জাহাজ যা তেল এবং গ্যাস রিগ, বিশাল কনস্ট্রাকশন প্লাটফর্ম অন্যান্য ভারী বোঝা এমনকি বিশাল আকৃতির জাহাজ পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই জাহাজের কাজ হলো অন্য জাহাজ বা প্ল্যাটফর্ম গুলিকে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া। বোকা ভ্যানগার্ড জাহাজের সবচেয়ে চমকপ্রদ বৈশিষ্ট্য হলো এটি একটি পানিতে ভাসমান জাহাজ হয়েও জাহাজ বা বিশাল কনস্ট্রাকশন প্ল্যাটফর্ম পরিবহনের জন্য আপনা আপনিই পানির নিচে প্রায় ১৬ মিটার বা ৫২ ফুট পর্যন্ত ডুবে যেতে পারে।
বিশাল এই জাহাজের নিমজ্জন প্রক্রিয়া অত্যন্ত চমকপ্রদ এবং বিজ্ঞানসম্মত। জাহাজটি নিমজ্জিত করতে হলে এর বিশেষভাবে ডিজাইন করা ব্যালাস্ট ট্যাংকগুলি পানি দিয়ে পূর্ণ করা হয়। এতে জাহাজের ওজন বেড়ে যায় এবং এটি ধীরে ধীরে পানির নিচে ডুবে যায়। একবার জাহাজটি সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হলে ভারী বোঝা যেমন তেল রিগ, বড় কনস্ট্রাকশন প্লাটফর্ম বা অন্য কোন বড় জাহাজ বোকা ভ্যানগার্ডের পাটাতনের উপর তোলা হয়।
সবকিছু ঠিকঠাক বসানোর পর পাম্পের সাহায্যে জাহাজ থেকে পানি বের করে দিয়ে আবার সেটিকে ভাসিয়ে তোলা হয়। কিন্তু লোহার তৈরি বিশাল এই জাহাজ পানির নিচে পুরোপুরি নিমজ্জিত হলেও কেন ডুবে যায় না? বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কার অবদান এই বোকা ভ্যানগার্ড জাহাজ। পানিতে ভাসমান বিশেষ এই জাহাজ এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে এটি পানিতে নিমজ্জিত হলেও পুরোপুরি ডুবে যায় না। এই জাহাজের কিছু অংশ সবসময় পানির উপরে থাকে। এর সেমি-সাবমারসিবল ডিজাইন এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে জাহাজের ডেকের উপরের অংশ এবং নির্দিষ্ট বয়া অংশ পানির উপরে থাকে। এটি জাহাজকে ভারী বোঝা তোলার পরেও স্থিতিশীল থাকতে সাহায্য করে এবং নিরপদে চলতে সহায়তা করে।
২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো সমুদ্রে যাত্রা করে ২৭৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৭০ মিটার প্রস্থের বিশাল এই জাহাজ। জাহাজটি নির্মাণে খরচ হয় প্রায় ২৯০ মিলিয়ন ডলার। শুধুমাত্র বোকা ভ্যানগার্ডই নয় ব্লু মার্লিন এবং ব্ল্যাক মার্লিন নামে আরও দুটি বিখ্যাত সেমি-সাবমারসিবল জাহাজ রয়েছে ডকওয়াইস কোম্পানির।
প্যারাসুট অকেজো হয়ে গেলে কি ঘটবে?
ম্যাক ট্রাক রাস্তার দানব এটি দেখতে বিশালাকার একটা বাড়ির মতো।