১। আপনার জীবনে চলার পথে আপনি কিছু ভুল করে থাকেন। ৯০% লোকের এটি অভ্যাস আছে যে যখনই তারা তাদের ফেসকে ওয়াশ করে এবং ওয়াশ করার পর সেই ফেসকে টাওয়েল বা গামছা দিয়ে ক্লিন করে তো তখন তারা খুব জোরে শক্তির প্রয়োগ করে মুখকে মোছার চেষ্টা করে। যাতে মুখটি পরিষ্কার হয়ে যায়। কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে যখন আপনি নিজের মুখের টাওয়েল বা গামছা দিয়ে জোরে জোরে মোছন তখন আপনার ফেসের স্কিন লুজ হতে শুরু করে আর যখন বারবার এই প্রসেসটিকে আপনি করতে থাকেন তখন মুখের স্কিন তো লুজ হয়ই সাথে সাথে খুব কম বয়সেই আমাদের ফেসে দাগ হতে শুরু করে এবং আমাদের স্কিন রাফ হয়ে যায়। যখন আপনি নিজের মুখকে মুছবেন তো ধীরে ধীরে সাধারণ ভাবে মুছুন। বল প্রয়োগ করার প্রয়োজন নেই।
২। ওয়েক আপ ইন দা মরনিং এন্ড টাচিং দা ফেস বহু লোকের এটি অভ্যাস আছে যে সকালে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথেই তারা নিজের হাত দিয়ে নিজের ফেসকে টাচ করে। এতে হয় যখন আপনি রাতে ঘুমিয়েছিলেন তো সেই সময় আপনার হাত বডির বিভিন্ন পার্টগুলিকে স্পর্শ করেছিল। যেমন গ্লু চুলকেছিল যার কারণেই সেই সময় আপনর হাতে সবথেকে বেশি ব্যকটেরিয়া এবং জীবাণু জমা হয়েছে তো এবার সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যখন আপনি হাত দিয়ে নিজের মুখকে স্পর্শ করেন তো সেই সময় আপনার হাতে অবস্থিত ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণুগুলি আপনার ফেসে লেগে যায় নাক এভং মুখ দ্বারা কিছু বডিতেও ডুকে পড়ে যা তো সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর হাতকে ভালো করে ধোয়ার পরই ফেসকে টাচ করুন ।
৩। আপনি হয়তো ভাবেন যে আপনি ব্রাশে যত বেশি টুথপেস্ট ব্যবহার করবেন ততই হয়তো আপনার দাঁত বেশি পরিষ্কার হবে। তাহলে আপনার ভাবনা ভূল ধারণা, কেননা টুথপেস্ট বানানোর সময় যে কেমিক্যাল কে ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে থেকে একটি হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড। এই কেমিক্যালটির কারণেই আপনি যখন ব্রাশ করেন তখন ফেনা হয় কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে এই কেমিক্যালটির ব্যবহার ইঁদুরমারা বীজ তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় আর এ জন্যই কেমিক্যালটি আমাদের মুখের ভেতরের স্কিন জন্ম খুবই হার্মফুল। এই জন্যেই মনে রাখবেন যে যখনই টুথপেস্টকে ব্রাশে নিবেন তার পরিমান যেন একটি মটর দানার মতো হয়।
৪। আপনি হয়তো বেশিরভাগ সময়েই ফ্রিজের পানি পান করেন। আপনি হয়তো জানেন যে ফ্রিজের পানি পান করলে আপনার বডি ঠান্ডা থাকবে। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণার কারণ আমাদের বডি ঠান্ডা জলকে তথা ফ্রিজের জলকে সঙ্গে সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রার সাথে মিলাতে পারে না। প্রথমে শরীর সেই পানিকে গরম করে নিজের বডি টেম্পারেচারে আনে। তারপর সেই পানিকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পাঠায়। যদি ঠান্ডা পানিকে শরীর পান করার সাথে সাথে গ্রহণ করে নেয় তা তো আপনার বডি টেম্পারেচার খুব তাড়াতাড়ি লো হয়ে যাবে।ফলসরূপ আপনি শীঘ্রই অসুস্থ হয়ে পরবেন।