যমুনা টিভি যেন জনমানুষের আস্থার প্রতিক। দেশে প্রতিনিয়ত ঘটেছে নানা ঘটনা,তৈরি হচ্ছে খবর। দেশের সকল খবর সংগ্রহ এবং উপস্থাপনের মাধ্যমে পৌঁছেছে সাধারণ মানুষের কাছে। দৈনন্দিন খবরের পাশাপাশি রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ ও মানব কল্যাণে বিশেষ রিপোর্ট প্রচার করে দর্শকদের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। জনগণের কথা বলে বিশ্ব দরবারে নিজেদের এমন উপস্থিতি জানান দিতে ২০১৪ সালের ৫ এপ্রিল যাত্রা শুরু হয়েছিল যমুনা টেলিভিশনের। https://alviedu.com/যমুনা-টিভি-কেন-জনপ্রিয়ত/
যমুনা টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম স্বপ্ন দেখতেন, যমুনা টেলিভিশন একদিন, বিশ্বের আলজাজিরা হয়ে উঠবে। সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হবে। কালোকে কালো আর সাদা কে সাদা বলবে। যমুনা টেলিভিশনের কর্মীদের তিনি উৎসাহ দিতেন, পেশাদারিত্ব বজায় রেখে সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতা উপস্থাপন করার। তারপর থেকেই পেয়েছে একের পর এক সাফল্য। প্রতিষ্ঠার দশ বছর না পেরোতেই যমুনা টিভি-র এমন সফলতার পেছনে রয়েছে অনেক অজানা গল্প।
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গোষ্ঠী যমুনা গ্রুপের মালিকানাধীন। যমুনা টিভি-র পথ চলা শুরু হয়, মূলত ২০০২ সালে, সম্প্রচারের লাইসেন্স প্রাপ্তির মাধ্যমে। কিন্তু সেই লাইসেন্স তৎকালীন বিএনপি সরকার বাতিল করে দিয়েছিল। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আবারও সরকারি অনুমোদন পায় যমুনা টেলিভিশন। পরীক্ষামূলক সম্প্রচারে থাকা যমুনা টিভিকে, ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর ফ্রিকোয়েন্সি ও যন্ত্রপাতি আমদানির অনুমোদন বাতিল সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশের টেরি যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা তথা বিটিআরসি। এরপরও পরীক্ষামূলক সম্প্রচার অব্যাহত রাখায় বিটিআরসি ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর যমুনা টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়।
প্রায় ৫ বছর পর ২০১৪ সালের ১৭ ই মার্চ, টেলিভিশন চ্যানেলটি দ্বিতীয়বারের মতো পরীক্ষামূলক সম্প্রচারে আসে। ২০১৪ সালের ৫ এপ্রিল সংবাদ ভিত্তিক টিভি চ্যানেলটি, পূর্ণাঙ্গ সম্প্রচার শুরু করার মাধ্যমে, দেশের গণমাধ্যম সেক্টরে নতুন দিগন্তের যাত্রা শুরু করে। এরপর হাটি হাটি, পা- পা করে প্রায় ১০টি বছর অতিক্রম করেছে, দেশের অন্যতম টিভি চ্যানেল যমুনা টেলিভিশন। নিয়মিত সম্প্রচার ছাড়াও, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, ইউটিউব ও ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে তথ্য এবং সংবাদ প্রচার করেছে গণমাধ্যমটি।
বর্তমানে যমুনা টিভিতে শতাধিক পেশাদার সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী কাজ করছেন। মহসিনুল হাকিম, সৈয়দ আবেদ হোসেন সামি, তাহমিদ তাতিমের মতো ব্যক্তিরা যমুনা টিভিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া রোকসানা আনজুমান নিকোলের মতো উপস্থাপিকার কারণে যমুনা টিভিতে ভিন্নমাত্রা যোগ হয়েছে। বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংবাদদাতা আছে গণমাধ্যম কর্মীটির। ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কের প্রধান কার্যালয় থেকে পরিচালিত, যমুনা টিভির তিনটি ব্যুরো অফিস আছে। সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য যমুনা টিভির সাথে বিবিসি মিডিয়া একশন ও ডয়েচে ভেলেসহ বিভিন্ন সংস্থা যুক্ত আছে।
মাথার খুশকি দূর করার উপায় ! ঘরোয়া উপায়?