ধ্রুব রাঠির ইউটিউবার হওয়ার গল্প

ধ্রুব রাঠির জীবনের কিছু গল্প। ১৯৯৪ সালে ভারতের হারিয়ানায় এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম তাঁর।তার মা ছিলেন একজন শিক্ষিকা। তার বাবা একজন ইন্জিনিয়ার। ধ্রুব রাটি পড়াশোনায় গড়পড়তা ধরনের ছিলেন । তার পড়াশোনা খুব বেশি ভালাও ছিল না,আবার  খুববেশি খারাপও না। তার মধ্যে চাকরি করার ইচ্ছাও তাঁর  মধ্যে ছিল না। একাডেমিক পড়ালেখায় খুব বেশি ভালো না হওয়ায় আর অফিস জবের প্রতি আনিহা থাকায়, আই আই টি সহ টপ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গুলোয় এডমিশন টেস্ট ক্লিয়ার করা হয়নি ধ্রুব রাঠি।

হতে চেয়েছিলেন ইন্ডিয়ান আর্মি বা ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সে যোগ দেবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমি’ এর পরীক্ষায়  রিটেনে টিকে গেলেও ‘এস এস বি’ ভাইভায় বাদ পড়ে যান।

পাঠ্যবইয়ের গতানুগতিক জ্ঞানে পিছিয়ে থাকলেও, ধ্রুব ছিলেন ভীষণ কৌতূহলী, পর্যবেক্ষক এবং প্রচন্ড সৃজনশীল। মাত্র আট নয় বছর বয়সেই ওয়েব ক্যাম দুর্বল ক্যামেরা দিয়েই তিনি একটা অ্যানিমেটেড ভিডিও বানিয়ে ফেলেছিলেন। তার বাবা তাকে একাবার লেগো-র লাইট সেন্সর এবং টাচ সেন্সর যুক্ত খেলনা কিনে দিয়েছিলেন। সেই খেলনাটা দিয়ে ওই বয়সেই তিনি একটা রোবট বানিয়ে ফেলেন। অ্যাকাডেমিক  পড়ালেখায় দুর্বলতার কারণে ইন্ডিয়ায় ইন্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ না পেলেও , তার এইসব বাড়তি স্কিল ও ক্রিয়েটিভিটির কারণে তিনি পড়ার সুযোগ পান জার্মানির karlsruhe Institute of Technologe-তে।

বাবা এডুকেশন লোন নিয়ে ধ্রুব রাঠিকে ১৭ বছর বয়েসে ব্যাচেলর অফ মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ইন্ডিয়া থেকে জার্মানি পাঠান। পরে তিনি সেখান থেকেই মাস্টার্স কমপ্লিট করেন, রিনিউয়েবল এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। মাস্টার্স চলাকালীন সময়ে ধ্রুব রাঠি একটা কোম্পানিতে ইন্টানিং করতেন, যার অবস্থান জার্মানিতে তাঁর বাসা থেকে এক ঘন্টার দুরত্বে। প্রতিদিন ট্রামে চেপে সেখঅনে যেতে হতো। 

ট্রামেই একদিন ইউলি নামে এক মেয়ের সাথে তাঁর পরিচয় হয়,পরবর্তীতে এই মেয়ের সাথে ধ্রুব রাঠি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার পর থেকে তিনি চিন্তা করেন দেশের সকল দুর্নিনী ও অত্যাচারের বিষয়ে আলোচনা ও সমালোচনা সাপেক্ষ হয়ে ওঠা দরকার। এ খানথেকেই তিনি ইউটিউবার হয়ে ওঠেন। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু,রাজনীতির আলো-আধার, ইত্যাদি সম্পর্কে তার ভিডিও এর মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান।জয় করে নিয়েছেন কোটি মানুষের মন। সুইজার ল্যান্ডের মোট জনসংখ্যার চাইতেও বেশি।

সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধির পেছনে না ছুটে তিনি নিজের কন্টেন্টকে আরো বেশি  সমৃদ্ধ করার জন্য পূনরায় ব্যাচেলর করেছেন ইকোনমিক্স অ্যান্ড রিজানেস ম্যানেজমেন্টের উপর।  বর্তমানে তার চ্যানেলে ২৩ মিলিওন লোক তাকে সাপট করে আসছেন। প্রতিবাদি ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে  এভাবেই জয় করে নিয়েছে মানুষের মন।

ছাত্রদের পাশে দাঁড়ালেন কোরিয়ান ইউটিউবার দাউদ কিম

আইনজীবী মানজুর আল মতিন এর পরিচয়

Leave a Comment