ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস হলেন নোবেলজয়ী একজন ব্যক্তি। প্রতিবছর সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সফল এবং অসাধ্যকর গবেষণাও উদ্ভাবণ এবং মানবকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতি বছর পুরো বিশ্বে সর্বোচ্চ ১৮ জন এই পুরস্কার পেতে পারে। বাংলাদেশের হয়ে ব্যাপক সম্মানের এই নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন ডঃ মোঃ ইউনুস। ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস ১৯৪০ সালের ২৮ শে জুন চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার জোবরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই দারুণ মেধাবী ছিলেন। ইউনুস বয়েজ স্কাউটে যোগ দিয়েছিলেন মাত্র ১৫ বছরের বয়সে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন।
চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি পরিক্ষায় ইউনুস মেধা তালিকায় ১৬ তম স্থান অধিকার করেন। চট্রগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন। ১৯৫৭ সালে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং এমএ পাশ করেন। পরবর্তীতে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পি, এইচ, ডি ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৬৫ সালে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান। ১৯৬৯ সালে পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পি এইচ ডি লাভ করেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের পক্ষে বিদেশে জনমত গড়ে তোলার কাজ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদানের জন্য সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নতি হন। ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এ পদে কর্মরত ছিলেন। ২০০৬ সালে পুরো বিশ্বকে তাগ লাগিয়ে দিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করে নেন ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস এবং তার প্রতিষ্ঠান গ্রামীন ব্যাংক।
গ্রামীন ব্যাংক এর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুহাম্মদ ইউনুস ক্ষুদ্র ঋণ ধারনার প্রবর্তন করেন।বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষদের দারিদ্রতার দূরীকরণে ইউনুসের এই ক্ষুদ্র ঋণ এর প্রকল্পই তাকে শান্তিতে নোবেল এনে দেয়। মুহাম্মদ ইউনুস দারিদ্র্যতার বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে সংঘঠিত দুভিক্ষের সময়। তিনি মনে করেন, সল্প পরিমাণে ঋণ ,দরিদ্র মানুষের জীবন মান উন্নয়নে অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। সেই সময়ে তিনি গবেঘণার জন্য গ্রামীন অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করেন। এভাবেই তিনি তার মহত্য আর শ্রমের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।
ড: মুহাম্মদ ইউনুসকে ভালো লেগে থাকলে শেয়ার ও কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানাবেন।
