মোহাম্মদ নিসার হলেন ভারতের প্রথম মুসলিম ক্রিকেটার। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগে থেকেই তিনি ক্রিকেট খেলতেন। তারপরে ছিলেন মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। আজ্জু ভাই হিসেবে পরিচিত আজহারের ক্যারিয়ারটা দারুণ সমৃদ্ধ। ১৯৮৪ সালে অভিষেকের পর তিন টেস্টে তিনটি সেঞ্চুরি দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন আজহারউদ্দিন। এর পরথেকে ব্যাট হতে আজহার হয়ে ওঠেন ২২ গজের অন্যতম ক্রিকেটার। সেখানথেকে হয়ে উঠেছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। তিনি ছিলেন কার্যকারী অলরাউন্ডার।ব্যাট হাতে যেমন দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছেন, ঠিক তেমনি ভাবে বহুবার তাকে বল হাতেও দেখা গিয়েছে।
তিনি সবার মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন তার অনবদ্য ফিল্ডিংয়ের জন্য। কিন্তু কোনো এক কারণে ক্যারিয়ারটা ততো লম্বা হয়নি কাইফের। ২০০ সালে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেক হওয়া কাইফ নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০০৬ সালে।
ভারতীয় ক্রিকেটে গত দুই যুগে অসামান্য প্রতিভা নিয়ে আসা কয়েকজন ব্যাটসম্যানের মধ্যে নিঃসন্দেহে ওয়াসিম জাফরের থাকবে। ব্যাকরণসিদ্ধ ব্যাটিংয়ে সিদ্ধহস্ত হিসেবে ওয়াসিম জাফরের সুনাম ছিল। তার সবচেয়ে বড় গুণ ছিল লম্বা ইনিংস খেলতে পারার ধৈর্য। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমেই ডাবল সেঞ্চুরি পেয়ে গিয়েছিলেন মুম্বাইয়ের ডান হাতি এই ব্যাটসম্যান। ৩১ টেস্টের ক্যারিয়ার ৫টি সেঞ্চুরির মধ্যে ডাবল সেঞ্চুরি ছিলো দুটি। এছাড়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ওয়াসিম জাফরের নামটি আলাদা করেই লেখা থাকবে।২৫৩টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে ৫১.১১ গড়ে করেছেন ১১ হাজার ১৪৭ রান। সেঞ্চুরি রয়েছে ৫৭ টি। লিস্ট এ ক্রিকেটেও আছে ৪ হাজার ৭৪৫ রান। দুই ফরমেট মিলিয়ে তিনি প্রায় ২৫ হাজার রানের মালিক।
ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের দাপটে আগে তেমন নাম করা বোলার উঠে আসতো না। বিশেষ করে পেসার। সেখানেই ব্যতিক্রম নাম জহির খান। ভারতের আনকোরা বোলিং লাইনআপে দীর্ঘদিন ত্রাতা হয়ে ছিলেন ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী এই পেসার। ভারতের হয়ে ২হাজার সালে আন্তর্জতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় জহিরের। এরপর দেশটির টেস্ট ও ওয়ানন্ডে দলের নিয়মিত সদস্য ছিলো জহির খান। ২০১৫ সালে টেস্ট থেকে বিদায় নিয়েছিলেন এই পেসার।অবসরের আগে টেস্ট ক্যারিয়ারে ৩১১ উইকেট শিকার করেন জহির। ভারতের হয়ে কপিল দেবের পর সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক তিনি। দীর্ঘ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২৮২ টি উইকেট নিয়েছে জহির খান।