মানবসভ্যতা ও সংস্কৃতির যথাযথ উন্মেষ ও বিকাশে মুসলিম জাতির অবদান অবিস্মরণীয়। ইসলাম জ্ঞান অর্জন ও শিক্ষাগ্রহণকে ফরজ করে দিয়ে শিক্ষা ও জ্ঞাননির্ভর যে ধারার সূচনা করেছে তারই ধারাবাহিকতায় মুসলিম মনীষীর গবেষণায় আত্ননিয়োগ করেছেন। আল-কুরআন ও রাসূলুল্লাহ (স)- এর হাদিসে জ্ঞানার্জনের মাহাত্ন্য বর্ণনা করা হয়েছে বার বার। কুরআন মাজিদে যারা জানে তাদের মূর্খ এবং যারা বোঝেনা অথবা বুূঝতে চায়না তাদের থেকে বড় ও সন্মানিত করে বর্ণনা করা হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালার এ মহাগ্রন্থের বিভিন্ন আয়াতে তাঁর সৃষ্টিজগতের বিভিন্ন নিদর্শনের মাঝে জ্ঞানীদের জন্য উপদেশ রয়েছে। জ্ঞানীরাই সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এসব কারণে আসলামি সভ্যতা জ্ঞানকে নূর হিসেবে বিবেচনা করেছে। এ নূর অর্জনের মাধ্যমে তারা নিজেদের সমৃদ্ধ করেছেন। জ্ঞানার্জনের জন্য তারা হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়েছেন। জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় মুসলিম মনীষীরা নতুন যুগের সূচনা করেছেন এবং মানব সভ্যতায় জ্ঞানের মশাল জালিয়েছেন।যে জন্য আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান কেবল চমকপ্রদ আবিষ্কার ও কালোত্তীর্ণ তত্ত্বের জন্যই মুসলিমদের কাছে দায়ি নয়, বরং আধুনিক বিজ্ঞান তার অস্তিত্বের জন্যও মুসলিম মনীষিদের কাছে চির দায়ী।