শিক্ষা ব্যবস্থায় খোলাফায়ে রাশেদার ভূমিকা অনেক। ইসলামের প্রথম চার জন খলিফাকে খোলাফায়ে রাশেদা বলা হয়। তারা মহানবি (স)-এর খুব ঘনিষ্ট সাহাবি ছিলেন। এ দিকে থেকে তারা মহানবি (স)-এর সরাসরি ছাত্র। মহানবি (স) আল্লাহর কাছ থেকে ওহির মাধ্যমে যে জ্ঞান আহরণ করেছিলেন তারা ছিলেন সে শিক্ষার ফসল। রাসূল (স) প্রতিষ্ঠিত শিক্ষার বুনিয়াদ খোলাফায়ে রাশেদার শাসনকালে ব্যাপক ও বিস্তৃত রূপ লাভ করে। খোলাফায়ে রাশেদার চার সদস্য যথাক্রমে হযরত আবু বকর, উমর , উসমান ও আলী (রা) শিক্ষাবিস্তারে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তাদের সবাই মসজিদে নববিকে প্রধান শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করেন। পাশাপাশি খিলাফতের অধীন সব মসজিদকে শিক্ষালয়ে পরিণত করেন।
হযরত আবূ বকর (রা)-এর খিলাফতকালে পবিত্র কুরআন মাজিদের গ্রন্থাবদ্ধ সংকলন সম্পন্ন হয়। হযরত উসমান (রা) এ সংকলনে পূর্ণাঙ্গ শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন, যা শিক্ষাবিস্তারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। হযরত উমর (রা) প্রথম শিক্ষাবিস্তারের প্রাতিষ্ঠানিক ধারা প্রবর্তন করেন। তিনি খিলাফতের বিভিন্ন এলাকায় মক্তব ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এসব প্রতিষ্ঠানে বায়তুল মাল থেকে বেতনভুক্ত শিক্ষক নিয়োগ করেন। যাযাবর বেদুইনদের শিক্ষিত করার জন্যও উমর (রা)-বিশেষ উদ্যোগ নেন। তিনি তাদের জন্য শিক্ষক নিয়োগ করেন এবং কেউ কমপক্ষে কুরআন তিলায়াত করতে না পারলে তার জন্য শাস্তির বিধান প্রবর্তন করেন। হযরত উসমান ও আলী (রা) এ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি সাধন করেন। হযরত আলী (রা) অসাধারণ পান্ডিত্যের কারণে রাসূল (স) এর কাছ থেকে জ্ঞানের দ্বার উপাধি লাভ করেন। তাঁদের সদিচ্ছায় মুসলিম খিলাফতে শিক্ষাদান ও গ্রহণে বিপুল গতি সঞ্চার হয়।