অন্যান্য আসহাবে সুফফার মতো হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. এরও জীবিকা নির্বাহের নির্দিষ্ট কোনো পথ ছিলো না। খানা-পিনাসহ জীবনের সার্বিক প্রয়োজন হতে মূখ ফিরিয়ে নেন। সব সময় নবীজীর হাদীস শোনার জন্য দরবারে রেসালাতেই পড়ে থাকতেন। এ কারণে অনেক সময় ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকনে। খুব কম সময়ই পেট পুরে খানা খেয়েছেন। কিন্তু একবার হলো কি. তিনি ক্ষুধা দূর করার আশ্চর্য এক পন্থা অবলম্বন করলেন। কিছু খেজুরে নিয়ে নবীজীর কাছে গেলেন। গিয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ এগুলোতে বরকতের দোয়া করে দিন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবগুলো খেজুর একত্র করে দোয়া করলেন এবং বললেন, খেজুরগুরো নিয়ে একটি থলিতে রাখবে। যখন প্রয়োজন হবে তখন থলি থেকে বের করে খাবে। থলি কথনো উল্টিয়ে পাল্টিয়ে ঝাড়বে না।
নবীজীর কথা অনুযায়ী তিনি খেজুরগুলো নিয়ে একটি থলিতে রাখলেন। যখন মন চাইত বের করে নিজে খাইতেন, অন্যদেরকেও খাওয়াতেন। এভাবে তিনি এই থলি হতে বের করে বিশ মন খেজুর ক্ষুধার্ত মিসকিনদের মাঝে বিতরণ করেছেন। এই থলিটা তিনি সব সময় নিজের সাথে রাখতেন । নবীজী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মৃত্যুর পর প্রায় চব্বিশ বছর পর অর্থাত , ৩৫ হিজরীতে আমীরুল মুমিনীন হযরত উসমান রাযি. এর শাহাদাতের দিন ঘটনাক্রমে থলিটি উল্টে যায় এবং সেসব খেজুর পড়ে যায়। এর পর থেকে বরকতের খেজুর আর আসেনি।
বাহ্যিকভাবে এ বর্ণনাটি ঐ সব বর্ণনার সাথে বিরোধ মনে হয়। যেসব বর্ণনায় আবূ হুরায়রা রাযি. ক্ষুধার্ত থাকার কথা এসেছে। তো দুই বর্ণনার বিরোধের সমাধান হল এই যে. খেজুরের থলি পেয়েছেন। নবীজীর শেষ হায়াতে। আর ইতিপূর্বে তাঁর ক্ষুধার্ত থাকার ঘটনাগুলো ঘটেছে।