হিজরত সম্পর্কে ষষ্ঠ হিজরীর শেষের বা সপ্তম হিজরীর শুরুর দিকের ঘটনা। হযরত তোফায়েল ইবনে আমর রাযি. সিদ্ধান্ত নিলেন, নিজ এলাকা থেকে হিজরত করে মদীনা শরীফে চলে আসবেন। সে হিসেবে দাউস গোত্রের অন্য মুসলমানদেরকেও তিনি হিজরতের প্রতি উৎসাহিত করলেন।তখন কবিলার ৭০-৮০ জন (কোনো বর্ণনায় ৪০০ জন) হিজরতের জন্য তৈরি হলেন।
হযরত তোফায়েল ইবনে আমর দাউসী রাযি. সকলকে নিয়ে নিজ বাড়ি ঘরকে বিদায় জানালেন এবং মদীনার পথে যাত্রা শুরু করলেন। এই মুহাজিরদের মাঝে হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. ও একজন গোলামসহ ছিলেন। তার মা ইসলাম গ্রহণ করেননি। কিন্তু মাকে একা রেখে যাবেন কী করে. তাই তার মাকেও সঙ্গে নিলেন । দাউসের এই কাফেলা মন্জিল পাড়ি দিয়ে মদীনা শরীফ পৌঁছালেন। পৌঁছেই জানতে পারলেন,নবীজী মদীনায় নেই। তিনি খায়বরের যুদ্ধের জন্য চলে গেছেন।
তখন তারাও খায়বর চলেআসলেন। হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. এর মদীনায় আগমনের ঘটনা তিনি নিজেই বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন খায়বর চলে গেলেন, তখন আমরা মদীনায় আসি। সাবা ইবনে আরফাতাহ রাযি. এর পিছনে ফজরের নামাজ আদায় করি। তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনায় নিজের নায়েব বা স্থলাভিষিক্ত করে গেছেন।
তিনি প্রথম রাকাতে সূরা মারইয়াম পড়লেন। দ্বিতীয় রাকাতে সূরা মুতাফফিফীন পড়েছেন। মুতাফফিফীন অর্থ মাপে কম দেওয়া। এ সূরায় তাদেরকে অভিসম্পাত করা হয়েছে যার কাউকে কিছু দিতে কম দেয় আর নিজে নেওয়ার সময় বেশি নেয়। তো সূরা শুনে আমি মনে মনে বললাম, অমুক আযদি ব্যক্তির জন্য ধ্বংস। যে দুটি পাল্লা বানিয়ে রেখেছে। যখন সে কোন কিছু কিনে তখন একটি পাল্লা দিয়ে ওযন করে। আর যখন সে কোন কিছু বিক্রি করে, তখন অপর পাল্লা দিয়ে ওজন করে দেয়। অন্য এক বর্ণনায় এসেছে যে,আযদ গোত্রের সকলেই এই উদ্দেশ্যে দুটি পাল্লা ব্যবহার করে।