ইমাম মাহদীর রণ প্রস্তুতি। খ্রিস্টান সৈন্য মহড়া চলাকালীন ইমাম মাহদী মক্কা থেকে পুনরায় মদিনা মুনাওয়ারায় আগমন করেন। মদিনায় পদার্পণ করে তিনি পয়গম্বরে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওযায়ে আতহার যিয়ারত করবেন। রওযা মুবারক যিয়ারত শেষে তিনি খ্রিষ্টান বাহিনীর সাথে মুখোমুখি যুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন। ইমাম মাহাদীর সেনাদলে তিন শ্রেণীর লোক থাকবে- প্রথম শ্রেণীর যারা থাকবে তারা খ্রিস্টানদের সাথে ভয়াবহ যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেই ময়দান থেকে পলায়ন করবে। আল্লাহ তা’আলা এই শ্রেণীর সৈন্যদের তাওবা কখনো কবুল করবেন না।
দ্বিতীয় শ্রেণিতে যারা থাকবে তারা জীবন বাজিয়ে রেখে রণক্ষেত্রে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং একপর্যায়ে তারা শাহাদাত বরণ করবে, তবুও যুদ্ধে পিঠ প্রদর্শন করবে না। এই শ্রেনীর সৈন্যদের মর্তবা হবে বদর ও উহুদ যুদ্ধের শহীদ সাহাবায়ে কেরামের মর্তবা তুল্য।
আর তৃতীয় শ্রেণীতে যারা থাকবে, তারা জীবন বাজি রেখে খ্রিস্টানদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হবে এবং একপর্যায়ে খ্রিস্টানদের পরাজিত করে ইসলামের বিজয় কেতন উড়াতে সক্ষম হবে। এই শ্রেণীর সৈন্যরা সাদা- সর্বদার জন্য গোমরাহী ও ভ্রষ্টতার সকল আবিলতা থেকে আমৃত্যু মুক্ত থাকবে এবং একজন সাচ্চা মুসলমান হিসাবে তাদের খাতেমা বিল খায়ের হবে। প্রথম দিনের যুদ্ধে ইমাম মাহাদীর সাথীদের এই শ্রেণীগুলোর বিভক্ত হয়ে যাবে। দ্বিতীয় দিন খ্রিস্টানদের বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর যুদ্ধ হবে আরও তীব্র। এদিন কার যুদ্ধে মুসলিম সেনাবাহিনীর একটি বিরাট দল এই মর্মে শপথ করে যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে যে, হয় তো গাজী নয় তো শহীদ – এছাড়া আমাদের জন্য তৃতীয় কোন পথ খোলা নেই।শপথদীপ্ত এই দলটি যুদ্ধ করতে করতে সকলেই শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করবে। ইমাম মাহদী মাত্র সামান্য কয়েকজনের বাহিনী নিয়ে মুসলিম সেনানিবাসে প্রত্যাবর্তন করবেন।
পরের দিন মুসলিম সেনাবাহিনীর বিশাল একদল পূর্বের দিনের নেয় হয় ময়দানে এই বাহিনী খুবই বীরত্বের সাথে খ্রিস্টান সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। একেবারেই অল্প কয়েকজনের একটি দল নিয়ে ইমাম মাহদী মুসলিম সেনানিবাসে প্রত্যাবর্তন করবেন। তৃতীয় দিন সন্ধ্যাবেলা এই পদ্ধতিতে বিরাট বাহিনী নিয়ে যুদ্ধ করতে করতে শেষ মুহূর্তে হাতে গোনা কয়েকজন সৈন্য নিয়ে ইমাম মাহদী মুসলিম সেনানিবাসে বিষণ্ন মনে ফিরে আসবেন।