ব্রংকাইটিস রোগের কারণ সম্পর্কে আলোচনা- প্রদাহ কে ব্রংকাইটিস বলে। ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে ঝিল্লিগাত্রে প্রদাহ হতে পারে। একবার ব্রংকাইটিস হলে বারবার এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সাধারণত শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা এরোগে বেশি আক্রান্ত হয়। ব্রংকাইটিস রোগের কারণ হলো-
ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও দূষণ (যেমন কলকারখানার ধুলাবালি এবং ধোয়াময় পরিবেশ) প্রধান কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়। সেঁসেঁতে ধূলিকণা মিশ্রিত আবহাওয়া, ঠান্ডা লাগা থেকেও এরূপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ব্রংকাইটিস রোগের লক্ষণ
ক. কাশি, বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হয়।
খ. শক্ত খাবার খেতে পারে না।
গ. কাশির সময় রোগী বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে।
ঘ. কাশির সাথে অনেক সময় কফ বের হয়। কমপক্ষে একটানা তিন মাস কাশির সাথে থাকে এবং এরকম অসুস্থতা পরপর ২ বছর দেখা যায়, তাহলে রোগীর ক্রনিক ব্রংকাইটিস হয়ে থাকতে পারে।
ব্রংকাইটিস রোগের প্রতিরোধ
ধূমপান ও তামাক সেবনের মত বদভ্যাস ত্যাগ করা।
শিশু বা বয়স্কদের যেন মাথায় ঠান্ডা না লাগে সেদিকে নজর রাখা।
ধুলাবালি ও ধোয়াপূর্ণ পরিবেশে কাজ করা থেকে বিরত থাকা।
ব্রংকাইটিস রোগের প্রতিকার
১. ধূমপান, মধ্যপান, তামাক বা সাদা পাতা খাওয়া বন্ধ করা।
২. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগের চিকিৎসা করানো।
৩. রোগীর পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়া।
৪. রোগীকে সহনীয় উষ্ণতা ও শুষ্ক পরিবেশে রাখা।
৫. পুষ্টিকর তরল ও গরম খাবার খাওয়ানো। যেমন: গরম দুধ, স্যুপ ইত্যাদি।