সিটি সেল সিম গোটা একটা জেনারেশনকে নস্টালজিক করে দেয়। ধারণা করা হয়, শুধুমাত্র গ্রাহকের গোপনীয়তা রক্ষায় বদ্ধপরিকর ছিল বলেই লাইসেন্স বাতিল হয় সিটিসেলের। এবার দেশে প্রথম এই মোবাইল অপারেটর কোম্পানি তাদের লাইসেন্স চালুর জন্য চিঠি দিয়েছে টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে। চিঠিতে সিটিসেল বলেছে, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে নয় এমন একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সিটি সেল যুক্ত ছিল- এরকম অযৌক্তিক ধারণা থেকে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়।
২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়ে যায় সিটি সেল-এর কার্যক্রম।বন্ধ হওয়ার আগে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে গ্রাহক সেবা দিয়েছে সিটি সেল। এবার দীর্ঘদিন পর সিটি সেল তাদের ফেসবুক পেজের কাভার ফটো পরিবর্তন করে ইতিবাচক কিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে। বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের উত্থান হয়েছিল সিটিসেল- এর হাত ধরেই। দেশে তখনো জিএসএম তথা ডিজিটাল তারবিহীন সেলুলার বা মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থা বিস্তার লাভ করেনি। কোড- ডিভিশন মাল্টিপল এক্সেস তথা সিডিএম এ প্রযুক্তির মোবাইল ফোন দিয়ে তখনকার গ্রাহকদের মন জয় করেছিল অপারেটরটি।
কিন্তু সময়ের বিবর্তনে তার বিহীন সেলুলার বা মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থার সাথে টেক্কা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারেনি তারা। কারণ শুরুতে সিটি সেল নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীদের পছন্দমত হ্যান্ডসেট পরিবর্তনের সুযোগ ছিল না। একটি হ্যান্ডসেটেই একটি নেটওয়ার্ক রিসিভার ওর ট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করতো। অন্যদিকে জিএসএম প্রযুক্তিতে গ্রাহকরা একটি অপারেটরের সিম কার্ড সংগ্রহ করে ইচ্ছামাফিক ফোন সেট পরিবর্তন করতে পারেন। ফলে হ্যান্ডসেটের চক্করে ঘুরপাক খায় সিটি সেল এর নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীরা ।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সিটিসেল রিম প্রযুক্তি আনে । যা অনেকটা সিমের মতোই । এর সুবিধা হল সিটি সেল এর কাছ থেকে রিম বা সংযোগ নিয়ে ইচ্ছামত হ্যান্ডসেট ব্যবহার করা যেত ।
কত সালে ক্যালসিয়াম কার্বাইড আবিষ্কার করা হয়?