Navy Force নৌ বাহিনী

১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ ফ্রান্সে প্রশিক্ষণরত পাকিস্তান নৌবাহিনীর ৮ জন বাঙালি সাব-মেরিনার পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে স্পেনের মাদ্রিদে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করেন। ভারতীয় দূতাবাসের সহযোগগিতায় তারা ৯/১০ এপ্রিল ভারতে পৌঁছান। এর পর প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং কর্নেল এমএজি ওসমানীর প্রচেষ্টায় ভারতের সহযোগিতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যাত্রা শুরু হয়। এরপর সীমান্ত এলাকার প্রশিক্ষণ শিবিরগুলো কে ৩৫৭ জন সুঠ্যমদেহী যুবককে বাছাই করে ১৩ মে থেকে পশ্চিম বাংলার ভাগীরথী নদীতে প্রশিক্ষণ শুরু হয়। সে প্রশিক্ষণে নৌ কমান্ডারদের লিমপেট মাইনসহ বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের ট্রেনিং দেওয়া হয়।

পাকিস্তান নৌবাহিনী থেকে পালিয়ে আসে ৪৫ জন নৌসেনা নিয়ে গড়ে তোলা হয় ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনী’ । ভারতের কাছ থেকে পাওয়া এমভি পাশ ও এমভি পদ্মা নামে দুটি যুদ্ধজাহাজ নিয়ে চট্রগ্রাম, চাঁদপুর, বরিশাল, মংলা, সমুদ্রবন্দর , আশুগঞ্জ, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, ফুলছড়িঘাট, গোয়ালন্দ, নগরবাড়ি , দাউদকান্দি ও আরিচা নদীবন্দরে সরাসরি দু:সাহসী আক্রমণ চালানো হয়। মুক্তিযুদ্ধে নৌসেনাদের বীরত্বপূর্ন এ অভিযান ‘ অপারেশন জ্যাকপট ‘ নামে পরিচিত। জুলাই মাসে সেক্টর কমান্ডার্স কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যসংখ্যা দাঁড়ায় ৫১৫ জনে। এদরে নিয়েই গঠিত হয়েছিলো ১০ নং সেক্টর। এ সেক্টরের কোনো নির্দিষ্ট সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না।

হেস্টিংস পদত্যাগ করেছিলেন কেন?

বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর সাপ কি

Leave a Comment