আদনান আহমেদ তামিমের বাড়ি চট্রগ্রামের রাউজানে। তিনি রাউজান সদর রাউজান সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার স্কুল ছিল চট্রগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। সেখান থেকে জিপি -এ ৫ পেয়ে এসএসসিতে উত্তীর্ণ হন। সেখান থেকে ঢাকার নটোড্রাম কলেজে সুযোগ পান। সাফল্যের ধারা এখানেও ধরে রাখেন। এইচ এসসিতেও পেয়েছেন জিপিএ-৫। কিন্তু নিজ বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় এসে মানিয়ে নেওয়া বেশ কঠিন ছিল।
২০২২ সালের প্রথমদিকে তিনি ঢাকায় চলে আসেন, হোস্টেলে ওঠেন। হোস্টেলে এক রুমে চারজন ছিলেন। ওইখানে থাকা, খাওয়া-দাওয়ায় সমস্যা হচ্ছিল। তিনি বেশিরভাগ সময় অসুস্থ থাকতেন। তবে এই অসুস্থতাও তাকে হার মানাতে পারেননি। পড়ালেখায় ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন তিনি। চট্টগ্রাম থেকে এসে দেশ একটা কলেজে ভর্তি হওয়াতে তার প্রতি সবার আলাদা প্রত্যাশা ছিল।
আদনানের কলেজ নটর ডেম যেন হবু বুয়েটিয়ানদের উদ্যান ! বুয়েট ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় সেরা৫০ জনের ৩৪ জনই নটো ড্রাম কলেজের। এছাড়া নটর ডেমের ৬০০+ শিক্ষার্থী বুয়েটে জায়গা করে নিয়েছেন। প্রতি বছরই নটর ডেমের প্রচুর শিক্ষার্থী বুয়েটে চান্স পেয়ে থাকেন।
উচ্চমাধ্যমিকের দুইটা বছর সব ভুলে পড়াশোনা করেছেন। সময় সচেতন আদনান মুখন্থ না করে বুঝে পড়ার ওপর জোর দিতেন। উচ্চমাধ্যমিকের পাশাপাশি বুয়েটের প্রস্তুতিও নিতেন। বুয়েটকেন্দ্রিক প্রস্তুতির জন্য কোনো আপস করেনটি। পরিক্ষার হলেও আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানতা অবলম্বন করেছেন। সে ভাবতেন নার্ভাস হলে জানা উত্তরও ভূল হয়ে যাবে। বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে আদনান বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি শুরুর দিকেই থাকবেন।
আদনানের বাবা প্রবাসে থাকেন, মা গৃহিনী। প্রবাস থেকে বাবার কাছ থেকে আদনান নানান উৎসাহ, উপদেশ পেয়েছেন। তার বাবার উপদেশ তাকে অনুপ্রাণিত করেছে। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আদনান দ্বিতীয়। পড়াশুনাতে তারাও সফল। আদনান বুয়েটের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বুয়েটের মেধা তালিকায় যারা শুরুর দিকে থাকেন, তারা অনেকেই এই বিষয়টা বেছে নেন। তার ইচ্চা বড় প্রতিষ্ঠানে সফটওয়ার ইন্জিনিয়ার হিসেবে যুক্ত হবেন।