কিভাবে তাকওয়া অর্জন করা যায়

কিভাবে তাকওয়া অর্জন করা যায়,,,,,,কিভাবে তাকওয়া অর্জন করা যায়,,,,,,

তাকওয়া একটি মহৎ গুণ। প্রতিটি মুসলমানের উচিত এই গুনটি অর্জনের সচেষ্ট হওয়া। কিছু প্রশংসনীয় বৈশিষ্ট্য অর্জন এবং কিছু নিন্দনীয় বিষয় বর্জন করতে পারলে এই মহৎ গুণটি অর্জন করা সহজ হয়।

আল্লাহর উপস্থিতি অনুভব করা: সব স্থানে এবং সব অবস্থায় আল্লাহর উপস্থিতি অনুভব করা এবং তার ভয়ে সর্বদা ভীত থাকা মুমিনের একটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য। এগুনের মাধ্যমে সহজে তাকওয়া অবলম্বন করা যায়। আল্লাহ তা না বলেন তোমরা যেখানেই থাকো না কেন তিনি (আল্লাহ) তোমাদের সাথেই আছেন।

সঠিক আকিদা পোষণ: কুফর, শিরক, নিফাক, বিদআত ইত্যাদি ভ্রান্ত আকিদা পোষণকারী অধিক পরিমাণে নেক আমল করলেও কোনক্রমেই তাকওয়া অর্জন করতে সক্ষম হবে না। সুতরাং তাকওয়া অর্জন করার জন্য আকিদা সঠিক হওয়া আবশ্যক। in short

আল্লাহর আজাবের ভয়: আল্লাহর আজাবের ভয় অন্তরে ধারণ করা প্রত্যেকের জন্য অপরিহার্য। কোন ব্যক্তি এ ভয়ের ঊর্ধ্বে নয়। আল্লাহ তার প্রিয়তম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উদ্দেশ্য করে বলেন-নিশ্চয়ই আমি যদি অবাধ্য হই তবে আমি ভয় করি কঠিন দিনের আজাবের। in short

ঈমানের সাথে নেক আমল: সূরা বাকারার ২ থেকে ৪ নং আয়াতে উক্ত সূরার ১৭৭ নং আয়াতে সূরা আলে ইমরানের ১৩৪ নং আয়াতে এবং অন্যান্য সূরার বহু সংখ্যক আয়াতে মুত্তাকির বৈশিষ্ট্য আলোচিত হয়েছে। উক্ত আয়াতসমূহ থেকে অবগত হওয়া যায় যে মজবুত ঈমানের সাথে বিরতিহীন ভাবে সালাত, যাকাত, সাওম, হজ্জ ইত্যাদি ফরজ ইবাদত পালন এবং অন্যান্য নেক আমল নিষ্ঠার সাথে সম্পন্ন করার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করা সম্ভব। in short

গুনা থেকে সাবধানতা: নেক আমল কম করা হলেও গুনাহ থেকে দূরে থাকতে পারলে তাকওয়া অর্জন করা সহজ হয়। বিশেষ করে কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা তাকওয়া অর্জনের জন্য একান্ত অপরিহার্য।

হালাল সমূহ গ্রহণ: হালাল সমূহ গ্রহণ করা ইবাদত কবুলের পূর্ব শর্ত। তাই হালাল খাদ্য, পানীয় ও পরিধি গ্রহণ করা এবং হালাল উপার্জনের সর্বাত্মক চেষ্টা করা মুত্তাকী হওয়ার জন্য খুবই প্রয়োজন। in short

হারাম এবং বদ অভ্যাস বর্জন: তাকওয়া অর্জনের জন্য হারাম খাদ্য, পানীয়, পরিধের পাশাপাশি হিংসা বিদ্বেষ প্রতারণা পরস্রোকাতরতা, গীবত, লোভ, ক্রোধ, ওয়াদা ভঙ্গ খেয়ানত ইত্যাদি বদ অভ্যাস ত্যাগ করা এবং সর্বপ্রকার হারাম উপার্জন থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য। in short

সুন্নাতের অনুসরণ: রাসুলুল্লাহ (স:) এবং সাহাবারা ছিলেন তাকওয়ার মূল প্রতীক। জীবনের চলার পথে পথে তাদের সুন্নতকে অনুসরণ করলে সহজেই তাকওয়া অর্জিত হয়। in short

সর্বোপরি তাকওয়া অর্জনের জন্য কুরআন সুন্নাহর আলোকে শরীয়ত সম্মত জীবন যাপন করার কোন বিকল্প নেই। in short

ইউটিউব চ্যানেল ভিজিট করুন@dailystory0.5

Leave a Comment