খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের জীবনী সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। তিনি এমন একজন আলেম যিনি সারাটা জীবন মুসলমানদের ঐক্য ও পরকালীন মুক্তির জন্য ব্যয় করেছেন। তিনি ছিলেন একজন ইসলামী চিন্তাবিদ, অধ্যাপক, লেখক এবং টিভি আলোচনা। আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ, দেশ-বিদেশের বহু প্রতিষ্ঠানে ইসলামের জন্য কাজ করেছেন।
২০১৬ সালে আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান, তার মৃত্যু নিয়ে অনেক রহস্য তৈরি হতে থাকে। কিছু আলেম ধারণা করতে থাকেন কোন গোষ্ঠীর কুটকৌশলের বিরুদ্ধে তৎপর থাকার কারণে, তাকে পরিকল্পিতভাবে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ঝিনাইদাহের সন্তান। ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকা সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করেন। এর পর একই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৭৫ সালে আলিম এবং ১৯৭৭ সালে ফাজিল পাশ করেন।
১৯৭৯ সালে তিনি হাদিস বিভাগ থেকে কামিল পাস করেন। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সৌদি আরব যান। সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাঊদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৮৫ সালে অনার্স এবং ১৯৯২ সালে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। এ ছাড়া রিয়াদের এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৯৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। খন্দাকর আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ছাত্র হিসেবে তুখোড় মেধার অধিকারী ছিলেন। তিনি বর্তমান সৌদি বাদশা ও তৎকালীন রিয়াদের গভর্নর সালমান বিন আব্দুল আজিজের হাত থেকে পর পর দু‘বার সেরা ছাত্রের পুরস্কার গ্রহণ করেন।
১৯৯৮ সালে লেখাপড়া শেষ করে খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আল হাদিস এন্ড ইসলামিস্ট বিভাগের লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৯ সালে, তিনি ইন্দোনেশিয়া থেকে ইসলামী উন্নয়ন ও আরবি ভাষা বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ২০০৯ সালে তিনি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের প্রফেসর পদে উন্নতি হন। কর্মজীবনে তিনি ঢাকার দারুস সালাম মাদ্রাসার খন্ডকালীন শায়খুল হাদিস হিসেবেও শিক্ষকতা করতেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে ওয়াজ মাহফিলে ইসলামী আলোচনা করতেন। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ইসলামিক অনুষ্ঠানগুলোতে তার মুখ ছিল খুবই পরিচিত।
খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর পঞ্চাশের অধিক বই লিখেছেন। তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বই হল হাদিসের নামে জালিয়াতি, রাহে বেলায়াত, সহীহ মাসনূন ওযীফা, ইত্যাদি। তিনি ভারতের বিখ্যাত ফুরফরা শরীফের পীর আব্দুল কাহ্হার সিদ্দীকির মেয়ে ফাতেমার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ২০১৬ সালের ১১ মে, ৫৮ বছর বয়সে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি মানুষের কাছে আলোর পথ হিসেবে পরিচিত থাকবেন।
উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইদি আমিনের শেষ পরিণতি
াঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার ইতিহাস
ভারতের হাওড়া স্টেশনের ১৭০ বছরের ইতিহাস যা বর্তমান রেলওয়ে স্টেশন….