জামায়েত ইসলামের বর্তমান আমির ডঃ শফিকুল রহমান সবার মন জয় করেছেন। তার কথাবার্তা এবং ভাবমূর্তি একেবারেই শান্ত সৃষ্ট। নেতৃত্ব গুনে অসম্ভব বিচক্ষণ। মানুষকে দেখানোর জন্য নয়, তিনি অসহায়দের পাশে দাঁড়ান একজন সভাকাঙ্খী হিসেবে, ভাই হিসেবে। দুর্যোগের এই সময় ডঃ শফিকুর রহমান বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে ত্রাণ শব্দটি স্পষ্ট উল্লেখ করেননি। মেহমানদের বাড়িতে দেখলে যাওয়ার সময় সাথে কিছু নিয়ে যান।
ড শফিকুর রহমান সেভাবেই বন্যার্তদের জন্য হাদিয়া নিয়ে গেছেন। এমনকি জিনিসগুলো দেওয়ার সময় ক্যামেরা বন্ধ রাখার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছেন ডঃ শফিকুর রহমান। আওয়ামীলীগ শাসনামলের তার ওপর বহু ঝড় বয়ে গেছে। তাকে আটক করা হয়েছে, তার দলকে করা হয়েছে নিষিদ্ধ। কোনো কিছুতেই তিনি থেমে যাননি বা হাল ছেড়ে দেননি।
জামায়েত ইসলামের জন্য তিনি এত আত্মত্যাগ করলেও এই দলে তার রাজনীতির হাতেখড়ি হয়নি। অতীতে তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলেন। অবশ্যই লম্বা হয়নি সে পথ চলা। কয়েক বছর পেরোতেই জাসদ ছাত্রলীগ ছেড়ে ইসলামী ছাত্রশিবির- এ যোগ দেন। এরপর থেকে বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় তার সংগ্রাম চলমান আছে। অনেকে হয়তো জানেন না, ডঃ শফিকুর রহমান একজন নামকরা চিকিৎসক।
তিনি ১৯৫৮ সালে ৩১ অক্টোবর মৌলভীবাজারের কোলারাও উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মোহাম্মদ আব্দুল মিয়া এবং মায়ের নাম মরহুমা খাতিরুন্নেসা। পরিবারের তিন ভাই এবং এক বোনের মধ্যে শফিকুর রহমান তৃতীয়। তিনি ১৯৭৪ সালে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৭৬ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পরীক্ষার উত্তীর্ণ হন। ১৯৮৩ সালে সিলেট মেডিকেল কলেজ বর্তমানে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিপিএস ডিগ্রি অর্জন করেন।