জুলকারনাইনের মহাপ্রাচীর

আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব জুলকারনাইনের মহাপ্রাচীর সম্পর্কে। কিছুদিন পর পর ইয়াজুজ মাজুজের অতর্কিত আক্রমণ, লুটতরাজ ও সন্ত্রাসে মানব গোষ্ঠীর মাঝে বিরাট ত্রাসের সৃষ্টি হয়। এদের আক্রমণ,লুন্ঠন ও ত্রাস থেকে  বাঁচার জন্য গিরিপথের প্রবেশ দ্বারে এক বিশাল লৌহ প্রাচীর নির্মাণ করে দেন জুলকারনাইন।

যাকে ঐতিহাসিকগণ মহাপ্রাচীর হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন। উচ্চতায় উভয় পাসের পাহাড়ের সমান এই প্রাচীর। আর এর প্রস্থ ষাট গজ। গিরিপথের প্রবেশদ্বারে এই মহাপ্রাচীর নির্মাণের ফলে, আক্রান্ত মানবগোষ্ঠী ইয়াজুজ- মাজুজের ধ্বংসলীলা থেকে রেহাই পায়। কিন্তু ইয়াজুজ- মাজুজ সেখান থেকে বের হয়ে আসার প্রচেষ্টা পুরোদমে চালু রাখে।

ইয়াজুজ- মাজুজ সারাদিন ধরে মহাপ্রাচীর ছিদ্র করার জন্য এবং প্রাচীর ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মহাক্ষমতাশীল আল্লাহ তা’আলা তাঁর দস্তে কুদরতে তাদের সারা দিনের এই পরিশ্রমকে ব্যর্থ করে দিয়ে রাতের বেলায় মহাপ্রাচীর কে তার পূর্বের অবস্থায় নিয়ে আসেন।

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময় একবার এই প্রাচীরে একটি ছিদ্র পরিলক্ষিত হয়েছিল। হাতের আংটির ভিতরের পরিধি বা শাহাদাত অঙ্গলী প্রবেশ করা যায়, ছিদ্রটি ছিল এমন পর্যায়ের। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই ছিদ্র এতটুকু প্রশস্ত হয়নি যে, তার ভেতর দিয়ে একজন মানুষ যাতায়াত করতে পারে। যখন ইয়াজুজ মাজুজ বের হওয়ার সময় হবে, তখন এই মহাপ্রাচীর ভেঙ্গে ধ্বংস হয়ে যাবে।

হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. এর জীবনি

ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবনী।

Leave a Comment