জেমস উত্তরবঙ্গের নওগাঁয় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। জেমসের বাবা যখন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হন তখন বাবার সাথে তাকেও চট্টগ্রামে আসতে হয়। এখানে এসে মাথায় আসে গানের প্রতি ভালোবাসা। পরে জেমস এর বাবা ঢাকায় বদলি হলে বাবার সঙ্গে তিনি আর আসেননি। চট্টগ্রাম থেকে যান। শুরু হয় আজিজ বোর্ডিং- এর ৩৬ নম্বর রুমে তার সংগ্রামী জীবন। ছোট্ট একটা রেস্টুরেন্টে খেতেন আর সন্ধ্যা হলে চলে যেতেন আগ্রাবাদ হোটেলে। তার সাথে সবসময় থাকতে একটি গিটার।
জেমসের পথচলা শুরু হয় ফিলিংস ব্র্যান্ডের হাত ধরে।প্রথম দিকে নিজেদের কোন গান ছিল না। তারা ইংরেজি গানগুলোর কাভার করতেন। জেমস বুঝতে পারেন অন্যের গান গেয়ে মানুষের মনে জায়গা পাওয়া যাবে না। গাইতে হবে নিজের গান, নিজেদের সুর, নিজের ব্র্যান্ড। দলের একক অ্যালবাম করার জন্য। ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে আসেন জেমস ও তার বন্ধুরা।জেমস ব্যান্ডের পাশাপাশি নিজের গানও করতে শুরু করেন। প্রথম অ্যালবাম অনন্যা প্রকাশ হয় ১৯৮৮ সালে। কিন্তু সেই অ্যালবাম তেমন সারা ফেলতে পারেনি।
ফিলিংস এর দ্বিতীয় অ্যালবাম জেল থেকে বলছি-র মাধ্যমেই প্রথম আলোড়ন সৃষ্টি করেন জেমস। অ্যালবামের টাইটেল ছিলো‘শোনো জেল থেকে বলছি আমি’-গানটি বাজতে শুরু করে গ্রামগঞ্জ শহর সবখানে। এর পরের গল্পটা বাংলা গানের নতুন ধারার এক ইতিহাস তৈরীর। একটার পর একটা হিট গান উপহার দিতে থাকেন জেমস। নীরা বাই, পাগলা হওয়ার তোড়ে, যদি কখনো ভুল হয়ে যায়, মা, বাবা, কিংবা, ফুল নেবে না অশ্রু নেবে বন্ধু,- জেমস হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য। বাংলাদেশ অথবা লাখী আখন দের লেখা ও সুর লিখতে পারি না কোন গান- এসব তখন এবং এখন বুঁদ হয়ে আছে তরুন প্রজন্ম।
এর মাঝেও ছিলো সমালোচনা ও অভিযোগ। ব্র্যান্ড সংগীতের নামে জেমস বাংলা গানের ধরন টাকেই নষ্ট করে দিচ্ছেন। কিন্তু জেমসের গিটার আর গলা সমালোচকদেরও মুগ্ধ করে ছাড়লো। যখন তিনি গাইলেন শামসুর রহমানের সুন্দরীতমা কবিতা থেকে আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেব। ১৯৯৬ সালে নগর বাউল নামে একটি অ্যালবাম বের করে জেমসের ব্যান্ড দল ফিলিংস। সেই অ্যালবামের দুঃখিনী দুঃখ করো না, গান দিয়ে সবাইকে মাতালেন আবার। জেমসের পরম নিন্দুকেরাও গানটি শুনতে শুরু করলেন। জেমস একাধারে দখল করে নেন সব ধরনের শ্রোতাদের মন। এভাবেই তিনি জিরো থেকে আজকের দেশে টিকে আছেন।
একজন দ্বীনদার মেয়ের চেনার উপায় This is the way to know a pious girl