ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার ইতিহাস সম্পর্কে- ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্র সমাবেশে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়, যা মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণার উৎস ছিল। ১৯৬৯ সালের ঐতিহাসিক ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের কেন্দ্রও ছিল এই বটতলা। এছাড়া স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন যৌক্তিক সংগ্রামের বাতিঘর ছিল এই বটতলা। তখন থেকে এই বটতলা হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার গুলোর একটি।
বর্তমানে কলাভবনের সামনে যে বটগাছটি রয়েছে, এটির বয়স প্রায় ৫২ বছর। তবে এই গাছটির আগেও এখানে একটি বটগাছ ছিল। তখনো এই স্থানটিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সভা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতো। যে কারণে স্বাধীনতার সংগ্রামের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর চক্ষুশূলে পরিণত হয় ঢাবির এই এলাকা। নির্বিচারে হত্যা করা হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের।তবে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বটতলা কে ভয় করত। তাই তারা চিরতরে এই স্থানটিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল। সে লক্ষ্যেই ১৯৭১ সালে তারা আগের সেই বটগাছটি সমূলে উৎপাটন করে।
এরপর দেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি একই স্থানে নতুন একটি বটগাছের চারা রোপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর ও বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে কথা বলা একমাত্র মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি। কালক্রমে এ গাছটি এখন মহীরুহ।সেই প্রঙ্গনে ছাত্র সমাজের সভাস সমাবেশ নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়। কখনো হয় প্রতিবাদ, কখনো বা আনন্দ উৎসব। বর্তমান গাছটির কথা জানা থাকলেও, পাকিস্তানিরা যে গাছটিকে সমুলে উপরে ফেলেছিল, সেটির মূল ইতিহাস আজও অজানা। সেই গাছটি কবে রোপন করেছিল সে সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য নেই।
আন্দোলন, সংগ্রাম, বিভিন্ন দিবসের এছায়া বৃক্ষ বটতলা শিক্ষার্থীদের কাছে আবেগের জায়গা। ক্লাসের আগে, ক্লাসের ফাঁকে, ক্লাস শেষে কিংবা ছুরির দিনে আর গল্পে মুখরিত হয়ে ওঠে বটতলা প্রাঙ্গণ। কেউ গিটার বাজায়, কেউ তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে গলা খুলে গান ধরে। এভাবেই মেতে থাকে বটতলা।
ভালো লাগলে শেয়ার করবেন এবং মতামত কমেন্ট বক্সে জানাবেন।
ড.আসিফ নজরুলের সাহসিকতার পরিচয় ঢাবির আইন বিভাগের শিক্ষক…
আইনজীবী মানজুর আল মতিন এর পরিচয় যিনি কোটা আন্দোলন কারীর সাথে ছিলেন…
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল albe hossin