২০০০ সালে যে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স টফি হারাতে হয়েছিল সৌরভ গাঙ্গুলীর টিম ইন্ডিয়া কে, সেই প্রতিপক্ষকে হারিয়েই শাপমোচন করল রোহিত শর্মার দল ইন্ডিয়া। অধিনায়ক হিসেবে আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে উঠেছেন। মাত্র নয় মাস আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন। তবে যে টুর্নামেন্টে কে ঘিরেআসমুদহিমাচল উদ্বেলিত হয়েছিল, ২০২৩ সালের শেষের দিকে ঘরের মাঠে সেই ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাস্ত হয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয় টিম ইন্ডিয়ার। গোটা টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকেও ফাইনালে ম্যাচ ফস্কে যায় হাত থেকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ক্রিকেট ঈশ্বর যেন টিম্যানের সেই আক্ষেপটা মিটিয়ে দিলেন। অপরাজিতা থেকেই এবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ভারত।
এছাড়াও ফাইনালে ৮৩ বলে ৭৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অথচ টুর্নামেন্টের আগে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছিল রোহিতের ফিটনেস নিয়ে। টুর্নামেন্ট জুড়ে আলোচনা হয়েছে টানা ১২ ওয়ানডেতে টস হেরে রোহিত ব্রায়ান লারাকে ধরে ফললেন বলে। কিন্তু খেলার মঞ্চে পারফরমেন্সে মুখ্য, অন্যসব আলাপই মূল্যহীন। নার্ভের লড়াইয়ে ভারত যে দিন দিন অস্ট্রেলিয়া হয়ে উঠেছে, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ানস ট্রফি সেটা আরেকবার দেখিয়ে দিয়েছে। পুরো টুর্নামেন্টে ভারতের মতো একচেটিয়ে দাপট আর কেউ দেখতে পারেনি।
টানা দ্বিতীয় আইসিসি টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন্স সিপের মুকুট পড়ে গ্যাঙ্গাম স্টািইল থেকে গারবা নৃত্য- সবই হয়েছে নীল আকাশ ধরায় নেমে আশা দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। পার্টি হয়েছে সারা রাত। দলে যে প্রতিভা রয়েছে তাতে ভারতের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে নিশ্চিত কোহলি। চেইন মাস্টার বলেন, ড্রেসিংরুমে প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। ওরা ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা খালি ওদের পথ দেখিয়ে দিচ্ছি, আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে দিচ্ছি। ওদের জন্যই এই দলকে এত শক্তিশালী দেখাচ্ছে। আর রোহিত কৃতিত্ব দিলেন অসাধারণ হয়ে ওঠা দলটির প্রত্যেক সদস্যকে।
প্রতিটি ম্যাচে কেউ না কেউ দায়িত্ব নিজের কাধে নিয়ে গেইম বের করে আনেন, অধিনায়ক এর বেশি আর কি চাইবেন। এজন্যই তো শ্রেষ্ঠত্বের এমন মধুর স্বাদ বারবার পাচ্ছেন রোহিত। পাচ্ছেন টিম ইন্ডিয়া।