ফাতিমা (রা:) অনেক দামী নারী ছিলেন। তিনি আমাদের বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) ও খাদিজা (রা:) এর ঘর আলো করে দুনিয়ায় এসেছিলেন। ফাতেমা (রা:) ছিলেন মহানবী (সা:) এর কলিজার টুকরা নয়নের মনি। তিনি হবেন জান্নাতী মহিলাগণের সরদার। ছোট বেলা থেকেই ফাতিমা (রা:) ছিলেন খোদাভীরু, আত্মত্যাগী, উদারও সাহিত্য-প্রতিভাসহ মহৎ গুণের অধিকারী।
বিশ্ব নবীর মেয়ে হয়েও অহংকার, দাম্ভিকতা, হিংসা তার মধ্যে ছিল না। তিনি সর্বদা নিজেকে পর্দার আড়ালে রাখতেন। হাজারো ধনী ব্যক্তির প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও তিনি হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুকে বিবাহ করেছিলেন। তিনি দিনের বেলায় বের হতেন না যাতে, কোন পুরুষ তাকে দেখতে পায়। সর্বদা নিজেকে লুকিয়ে রাখতেন। ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু সংসারিক কাজকর্ম নিজে একাই করতেন।
অভাবে সংসারে কখনো খেয়ে না খেয়ে তার জীবন কাটতো। তারপরও তিনি কোন ভিক্ষুক আসলে তাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিতেন না। তার বাবা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মারা যাওয়ার কিছুদিন পর তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্তেকালের সময় তিনি আলীকে বলেছিলেন আমার মৃত্যুর সময় জানাজা পড়াবার জন্য বেশি লোকের প্রয়োজন নাই। কারণ দুনিয়ায় আমি যেভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে থাকতাম, তেমনি লুকিয়ে লুকিয়ে আল্লাহর কাছে যেতে চাই।
বোন আমরাও মানুষ ! তারাও তো নারী তুমিও তো নারী, তাহলে তুমি কেন পারবে না, নিজের জীবনকে রবের জন্য রবের সন্তুষ্টির জন্য গুছিয়ে নিতে। রূপ কোন যস-খ্যাতি তাদেরও তো কম ছিল না। তাহলে তোমার কিসের এত অহংকার? কিসের এত দাম্ভিকতা? সাময়িক কিছু বাহবা পাওয়ার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছো। নিজেকে প্রদর্শনের বস্তু বানাচ্ছো। যেখানে নারীদের আল্লাহ কত সম্মান দিয়েছে আর সেই সম্মান নিজে নষ্ট করছো? কেন তাওবা করে ফিরে আসছে না রবের দিকে? তিনি যে আমাদের অপেক্ষায়। হেদায়েত দান করুন ইসলামের পথে কবুল করুন আমীন।