এটি বানিজ্যিক ভাবে তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট উড়োজাহাজ ক্রিক্রি। ১০ থেকে ১২ ফুট লম্বা ৮০ কেজি ওজনের পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট এই বিমানটি অনায়াসেই প্রাইভেট কারের ছাদে তুলে নেওয়া সম্ভব। পেট্রোলে চালিত ২টি ছোট পিস্টন ইঞ্জিন শক্তি যোগায় এই বিমানে। মাত্র ১১ লক্ষ থেকে ১৬ লক্ষ টাকায় পেয়ে যাবেন ১৯৭০ দশকের ডিজাইন করা কলম্বান ক্রিক্রি নামের বিশ্বের সবচেয়ে ছোট টুইন ইঞ্জিন বিমান। গত ৫০ বছরে বিমানটির নকশায় নানা রকম পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে এতে ২৫ হর্স পাওয়ার এর ইঞ্জিন থাকে যা বিমানটিকে ১৯০ কি.মি ঘণ্টায় গতিতে উড়তে সক্ষম। তবে ছোট ছোট জেট ইঞ্জিন দিয়েও এই বিমানটি চালনা করা হয়।
ক্রিক্রি সাধারণত একটানা ১ থেকে১.৫ ঘন্টা পর্যন্ত আকাশে উড়তে পারে, যা নির্ভর করে বিমানের জ্বালানির পরিমাণ এবং আবহাওয়ার ওপর। উচ্চ গতি ও ছোট আকারের কারণে বিশেষ করে অভিজ্ঞ পাইলট ছাড়া এই বিমান চালানো বেশ বিপদজনক। তবে এটি ব্যক্তিগত ও বিনোদন হিসেবে আকাশে ওড়ার জন্য বেশ সমাদ্রিত। ক্রিক্রি মূলত যাদের বিমানের প্রতি দুর্বলতা এবং বিমান তৈরীর শখ আছে তাদের কাছে জনপ্রিয়। এটি হালকা ও ছোট হওয়ার কারণে স্টান্ট পাইলট এবং অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের কাছেও প্রিয়। বর্তমানে কলম্বিয়ান ক্রিক্রি কিট বিমান হিসাবে কিনতে পাওয়া যায়। এগুলো জোড়া দিয়ে বাড়িতেই তৈরি করা সম্ভব ওড়ার যোগ্য ছোট বিমান।
এটি তৈরি করতে প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতার প্রয়োজন। বিমানের যন্ত্রাংশ কেনার পর তার সংযুক্ত করে সম্পূর্ণ বিমান তৈরি করা যায়। বিশ্বের ক্ষুদ্রতম এই বিমানের মূল কাঠামো প্রধাণত অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি। এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে ওজন কম হয় এবং গঠন মজবুত হয়। বর্তমানে কার্বন ফাইবার ও ব্যবহার হচ্ছে বিমানগুলো তৈরিতে। ক্রিক্রি এর ককপিট খুবই ছোট এক পাইল বিশিষ্ট এই বিমানের ককপিটে খুব বেশি জায়গা নেই। প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের জন্য পর্যাপ্ত স্থান রয়েছে। ককপিটে থাকে বেসিক নিয়ন্ত্রণ প্যানেল স্পিডোমিটার, অল্টিচিউড মিটার,ফুয়েল গেজ কম্পাস, ওয়ারলেস যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি।
এই বিমানগুলো ওড়ানোর জন্য রানওয়ে প্রয়োজন হয় তবে ঘাসে ঢাকা মসৃণ মাঠেও সহজে ওঠা নামা করতে পারে। ওঠা নামা সহজ ও নিরাপদ করার জন্য বিমানের নিচে লাগানো থাকে ছোট ছোট তিনটি চাকা। এগুলো ল্যান্ডিং গেয়ার নামে পরিচিত।