বুয়েটের ভিসি ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদারের পরিচয়।বর্তমান সময়ে বুয়েট যতটা আলোচিত।ঠিক ততটাই আলোচিত বুয়েটের ভিসি সত্য প্রসাদ মজুমদার ।
সত্যপ্রসাদ মজুমদারের আগে বুয়েটির উপাচার্য হিসেবে এসেছেন মোট ১৩ জন। তবে কেউ তাঁর মতোএমন আলোচনার ভেতর দিয়ে যাননি। উপাচার্যের দায়িত্ব পালনের পূর্বে বুয়েটের প্রশাসনিক বিভিন্ন দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও EEE বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করেছেন। সত্য প্রসাদ মজুদারের কর্মময় জীবন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সত্য প্রসাদ মজুমদারের জন্ম ১৯৫৮ সালে, ফেনীর দাগণভূঞার রামনগর গ্রামে। তার বাবা মনোরঞ্জন মজুমদার ছিলেন চাঁদপুর ডি এন উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক। একজন আদর্শবান শিক্ষক হিসেবে এলাকায় তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। সত্য প্রসাদ মজুমদার নিজেও এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। তিনি চাঁদপুর ডি. এন উচ্চ বিদ্যালয় চাঁদপুর ১৯৭৩ সালে স্টার মার্কস নিয়ে এস এস সি পাস করেন। ছাত্র জীবনে মেধার সাক্ষর রাখা গুণী এই ব্যক্তি পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছিলেন। হাই স্কুলের পাঠ ঢুকিয়ে তিনি ভর্তি হন চাঁদপুর সরকারি কলেজে।সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে এইস এস সি পাস করে ভর্তি হন বুয়েটে।এর পর বুয়েটের তড়ি ও ইলেকট্রনিক কৌশল তথা EEE বিভাগে ১৯৮১ সালে স্নাতক এবং ১৯৮৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। স্নাতক শেষ করার পর ১৯৮১ সালেই তিনি বুয়েটের EEE বিভাগের প্রভাষক পদে যোগদান করেন।
সত্য প্রসাদ মজুমদার পি এইস ডি করেছেন ভারতের খারকপুর থেকে । তিনি ১৯৯১ সালে খাড়শপুরের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোজজি তথা আই আই টি থেকে ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশ ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পি এইস ডি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইন রাডার অ্যান্ড কমিউনিকেশনস –এ ফাইবার অপটিক্স নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। এছাড়া তিনি পারসা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ইতালির ;জাতীয় গবেষণা পরিষদ সি আর এন থেকে টেলিযোগাযোগ প্রকল্পের পি এইস ডি করার জন্যও গবেষণা সহায়তা পেয়েছিলেন।
একজন গবেষক হিসাবে সত্য প্রসাদ মজুমদার কতবড় তাঁর প্রমাণ পাওয়া যায় বিশেষ একটি পরিসংখ্যানে। রিসার্চারদের হচ্ছে দুনিয়ার রিসার্চারদের সবথেকে বড় সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলোর একটি। রিসার গ্রেডের হিসাব অনুযায়ী সত্য প্রসাদ মজুমদারের মোট পাবলিকেশন সংখ্যা২০৬ টি এবং মোট সাইটেশন সংখ্যা ৬২৯ টি। এই সাইটেশন সংখ্যাই হচ্ছে মূলত কতজন রিসার্চার তাঁর এর রিসার্চ নিজেদের কাজে প্রয়োগ করেছে এবং দেখেছে। এছারাও একজন রিসার্চারের কাজগুলো কতটা ইম্প্যাক্ট ফেলেছে, সেটা হিসাব করার জন্য রিসার্ছগ্রেটর একটি পরিসংখ্যান পদ্ধতি আছে। যেখানে অধ্যাপক মজুমদারের স্কোর বিশ্বমানের। বুয়েটের সাথে সত্য প্রসাদ মজুমদারের ঘনিষ্ঠতা বহু পুরানো। হলের প্রভোস্ট এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় থেকেই ছাত্রদের সাথে তাঁর হৃদ্যতার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ব্যক্তিগত গাড়ি থাকার পরেও তিনি ক্যাম্পাসে খুব কম সময়ই গাড়ি নিয়ে আসতেন। রিকশাই তার সবচেয়ে প্রিয় বাহণ। কর্মজীবনে অনেক গুরুত্বপূণ পদে ছিলেন। কিন্তু সবসময় চলেছেন সাদামাটাভাবে।
সত্য প্রসাদ মজুমদারের মতোই তাঁর পরিবারের অনেক সদস্যজাতীয় কল্যাণে কাজ করছেন। তার বড় ভাই রাম প্রসাদ মজুমদার পেশায় একজন ইন্জিনিয়ার । নিজের মেঝ ছেলে রমা প্রসাদ ও ইন্জিনিয়ার। এ ছাড়া সেজো ছেলে শ্যামা প্রসাদ কুমার মজুমদার বুয়েট থেকে ইন্জিনিয়ারিং পাস করেছিলেন। বুয়েটকে বলা হয় দেশের ইন্জিনিয়ারিং শিক্ষার বাতিঘর।
সেই বাতি ঘরের আলো হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছেন অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার । আপনাদের কাদের বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছে আছে তা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন । আল্লাহ হাফেজ।
ইহুদি না কি মুসলিম জয় হবে । ইরান ও ইসরাইল।
বাংলাদেশ ক্রিকেট সম্পর্কে জানুন