সর্বকনিষ্ঠ এই ব্যারিস্টারের নাম গোলাম মোর্শেদ শান। তার বয়স যখন 3 বছর। বাবার সঙ্গে গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের একটি ব্যারিস্টার সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে। সে অনুষ্ঠানে বার এট ল’ সার্টিফিকেট গ্রহণের সময় খানকে নিয়ে ছবি তুলেছিলেন তার বাবা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই স্মৃতি আলোড়িত করে তুলতো এই তরুণকে। সেই থেকেই ব্যারিস্টার হওয়ার স্বপ্নের শুরু।
বাবার পথ ধরে লক্ষ্যের পণে হাঁটা শুরু। শানের বাবা মাহমুদ মোরশেদ সিলেট অমিত প্রতিভার অধিকারী। তিনি প্রথমে আমেরিকা থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পরে লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি সম্পন্ন করেন। তিনি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের স্বনামধন্য আইনজীবী। বাবার পথ ধরেই এই পেশায় আসার স্বপ্ন দেখেছেন শান। স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতেই চমকপ্রদ শিক্ষা জীবন শুরু করেন শান। মাত্র তিন বছর বয়সে শুরু হয় তার শিক্ষাজীবন।
স্বাভাবিকভাবে একজন কিশোরের জন্য যেটা শুরু হয় পাঁচ বা ছয় বছর বয়সে। এরপর থেকেই প্রতি ক্লাসে মেধার স্বাক্ষর রেখে দ্রুত গতিতে আঘাতে থাকেন শান। অষ্টম শ্রেণী পাস করার এক বছর পরেই দিয়েছেন এস এস সি পরীক্ষা। এইচএস সি সম্পূর্ণ করেছেন দেড় বছরে, যেখানে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর লাগে দুই থেকে আড়াই বছর। অনার্স ও দিয়েছেন দুই বছর আগে। সব মিলিয়ে ৬ থেকে ৭ বছর আগেই লক্ষ্য ছোঁয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান গোলাম মোরশেদ।
এরপর যুক্তরাজ্যে আইন পড়তে গিয়ে ইউনিভার্সিটি অব বাকিংহ্যাম থেকে তিন বছরের এলএলবি কোর্স শেষ করেছেন মাত্র ২ বছরে। এরপর মাত্র 21 বছর বয়সে তিনি যুক্তরাজ্যের বিপিপি ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স অফ ল ইন লিগ্যাল প্র্যাকটিস (বার) ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। স্বাভাবিকভাবে একজন ব্যারিস্টার হতে সময় লাগে ২৮ বছর। কিন্তু এতটা দীর্ঘ পথ এত দ্রুত কিভাবে শান। এটার পেছনেও ছিল তার বাবার অবদান।
বাবাই ছিলেন তার প্রেরণা। বাবা চাইতেন ছেলে যেন 21 বছর বয়সেই ব্যারিস্টার হতে পারেন। সেই অনুযায়ী গাইডলাইন দিতেন। সেই সঙ্গে নিজেরও ছিল অদম্য ইচ্ছা ও লক্ষ্য। সব মিলিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন এই তরুণ।