সাবার আগে যারা জাহান্নামে যাবে। পহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তাআলা অতিশয় দয়ালু ভীষণ ক্ষমাশীল ও অনুগ্রহপরায়ণ। একই সঙ্গে তিনি মন্দ কাজের কঠোর শাস্তিদাতাও। কেউ অন্যায় করলে তাকে শাস্তি দেন। তবে যদি গুনাগার ও অন্যায়কারী নিজের গুনাহ মাফ করিয়ে নেয় তাহলে ভিন্ন কথা। সাধারণত প্রতিটি মানুষই গুনাহ করে। কেউ বেশি, আবার কেউ কম। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ অনেক সময় আল্লাহকর্তৃক নিষিদ্ধকৃত কাজ করে ফেলে। কিন্তু একজন মুসলিম গুনাহ করে তাওবা করবে- এটিই স্বাভাবিক।
আল্লামা ইবনে কাইয়্যুম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, গুনাহ করে সে মানুষ। যে গুনাহ করে তার ওপর অটল অবস্থানে থাকে সে শয়তান। আর যে গুনাহ থেকে তাওবা করে সে হলো মুমিন। মানুষ যখন আমল করে- তখন তার সামনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ত বা উদ্দেশ্যের প্রশ্ন চলে আসে। সে আল্লাহর জন্য ইবাদত করেছে নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে করছে। সেটি ঠিক করার পরেই ইবাদত কবুল হওয়ার ব্যাপারে আশা করা যায়। মানুষ যদি নিজের আমলকেই বড় মনে করতে থেকে অথবা লোক- দেখানোর উদ্দেশ্যে সালাত, যাকাত আদায়,ইলম বা জ্ঞান অর্জন ও জিহাদ করে, তাহলে সেটি দয়াময় আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন না।
এক হাদিসে উল্লেখিত রয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যার মনে যারবা ( যবের দানা পরিমাণ) গর্ব বা অহংকার থাকবে- সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এরপর জনৈক ব্যক্তি বললেন, মানুষ এটাই পছন্দ করে যে তার পোশাক সুন্দর হোক, এমনকি তার জুতা জোড়াও সুন্দর হোক (তাহলে তাও কি অহংকার) ? উত্তরের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর সুন্দর ও তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। আসলে অহংকার হচ্ছে সত্য ও ন্যায়কে উপেক্ষা করা এবং মানুষকে তুচ্ছ করা। (সহিহ মুসলিম, হাদিস:৯১ )
তিন ব্যক্তির সবার আগে জাহান্নামে যাবে। তিন ব্যক্তিকে প্রথমে জাহান্নামে পাঠানো হবে। হাদিসে এসেছে, ওই তিন ব্যক্তির নিয়ত শুদ্ধ ছিল না। অর্থাৎ তারা আল্লাহর সন্তুষ্ট করার জন্য ইবাদত করেনি। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন, কিয়ামতের সবার আগে যাদের বিচারের জন্য আনা হবে তাদের মধ্যে অন্যতম দানবীর, আলেম ও আল্লাহর পথে জিহাদকারী শহীদ। আল্লাহতালা প্রথম শহীদকে কেয়ামগুলো দেখে প্রশ্ন করবেন সে উত্তর দেবে আমি আপনার পথে লড়াই করে শহীদ হয়েছি।এভাবে তিনজনকে তিনি প্রশ্ন করবেন। তারা যেটা করেছে কিন্তু সেটা বলবে না।