ভূয়া ডাক্তার মুনিয়া রোজা 

ভূয়া ডাক্তার মুনিয়া রোজার কর্মকান্ড। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ডাক্তার সেজে দীর্ঘদিন ডিউটি করেছে। তার মূল উদ্দেশ্য ছিল রোগীদের মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেওয়া। কিন্তু তার আসল পরিচয় বেরিয়ে আসে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। একদিন ঢামেকের মেডিসিন বিভাগের আইসিইউ থেকে এক নার্স এর মুঠোফোন চুরি হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালে নজরদারি বাড়ানো হয়। এসবের মধ্যে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে মুনিয়া রোজাকে হাসপাতালে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বিষয়টি সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মুনিয়া রোজা নিজেকে গাইনী বিভাগের চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেন। কিন্তু গাইনি বিভাগে নিয়ে গেলে কেউ তাকে চিনতে পারেনি।

পরে যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, তার পরিচয় পত্রটি আসল নয়।পরিচয় পত্র ও চিকিৎসকের অ্যাপ্রেন কিনেছিলেন তিনি নিউমার্কেট থেকে। মিটফোর্ড থেকে কিনেছিলেন েস্টেথেস্কোপ। এভাবেই  সেজেছিলেন ভুয়া ডাক্তার। এর পর পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।মুনিয়া রোজার বাড়ি চাদঁপুরে সদরে। থাকেন পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে। 

মুনিয়া ভুয়া ডাক্তার হলেও, কিছু আসল ডাক্তার আছেন যারা আগে দেশজুড়ে আলোচনায় ছিলেন। ডঃ  মুরাদ তেমনি একটি নাম। ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডাক্তার মুরাদের সাথে চিত্রনায়ক ইমন ও নায়িকা মাহিয়া মাহির একটি ফোনালাপ ভাইরাল হয়। বক্তব্যে মুরাদ অশ্রাব্য’ কিছু শব্দ উচ্চারণ করেন। বিষয়টি দেশজুড়ে সমালোচনার জন্ম দেয়। তারপর ইমেইলের মাধ্যমে ডক্টর মুরাদ তার পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেন। পদত্যাগ করার তিন দিন পর ডঃ মুরাদ বাংলাদেশ ছেড়ে কানাডায় যাওয়ার চেষ্টা করেন।কানাডায় প্রবেশ না করতে পেরে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর দুবাই হয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন।মাত্র একটি ফোনকলের কারণে জাতীয় পর্যায়, জেলা পর্যায়ের রাজনীতিতেও ডাক্তার মুরাদের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যায়।

 দেশজুড়ে শোরগোল ফেলে দেওয়া আরেক জন  চিকিৎসা হলেন ডাক্তার সাবরিনা। তিনি হতে চেয়েছিলেন নায়িকা,  কিন্তু হন চিকিৎসা। তার পুরো নাম সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। একজন হৃদরোগ সার্জন হিসেবে বিভিন্ন টকশোতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে তিনি ছিলেন টেলিভিশনের পরিচিত মুখ। তবে করানোর সময়ে ২ নাম্বার সনদ সরবরাহের অভিযোগে স্বামীসহ শ্রীঘরে  ডোকেন ডাক্তার সাবরিনা।পরে উচ্চা আদালতে আপিল আবেদন করে তিনি জামিন পান। এসব অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বন্দিনী নামের একটি বই লিখেছেন। বইমেলায় কেঁদে কেঁদে আবার নিজের বইয়ের প্রচার চালিয়েছেন। পরে ডাক্তার সাবরিনাকে বইমেলা থেকে বিতাড়িত করা হয়।

এ কে আজাদের সফলতার গল্প

হেলেন কেলার এর গল্প

ভারত থেকে খাদ্য দ্রব্য আমদানি !

Leave a Comment