গ্যালিলিও ১৫৬৪ সালে ইতালির পিসায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাত সন্তানের মধ্যে সবার বড় ছিলেন। তার পিতা ছিলেন একজন সঙ্গীতজ্ঞ এবং পন্ডিত। গ্যালিলিও নিজেও বাদ্যযন্ত্র ও বাঁশি বাজাতেন কিন্তু বিজ্ঞানের প্রতি অবদানই তাকে বিখ্যাত করেছিল। প্রথমে পিসায় তার বাড়িতে গ্যালিলিওর একজন গৃহ শিক্ষক ছিল। তারপর তিনি ফ্লোরেন্সের আশ্রমের বিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
পরবর্তীতে তার পিতা তাকে চিকিৎসা বিষয়ে অধ্যয়নের জন্য পিসার বিশ্ববিদ্যালয় পাঠিয়ে দেন কিন্তু গ্যালিলিও গণিত এবং পদার্থবিদ্যা বিষয়ে অধিক আগ্রহী ছিলেন। তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানের কোর্স সম্পূর্ণ না করেই পিসা ট্যাগ করে। কিন্তু ১৫৮৯ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি গণিতের একজন অধ্যাপক হন। ১৬০৯ সালে গ্যালিলিও ছোট একটি দূরবীন যন্ত্র তৈরি করেন। যখন তিনি আকাশের দিকে তার দুরবীক্ষণ যন্ত্রটি স্থাপন করেন, তিনি ধীরে ধীরে বৃহস্পতির গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান চারটি চাঁদ, চাঁদের গর্ত, সূর্যের দাগ এবং শনির চারিদিকে বৃত্ত আবিষ্কার করেন।
গ্যালিলিও আবিষ্কার করেন যে, পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহ সূর্যের চারিদিকে ঘুরে। শেষ সময় খ্রিস্টিয়ান চার্চ মনে করত যে, পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্র নয় এরূপ যে কোন ধারণা বাইবেলের বিরোধী। গ্যালিলিওর ধারণা চার্চের সাথে এক সংঘাতিক সমস্যায় ফেলে দিল। তখন তাকে এটি ঘোষণা করতে বাধ্য করা হয়েছিল যে, পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্রে অবস্থিত। কিন্তু তিনি কখনো তার নিঃশ্বাসের বা ধারণার পরিবর্তন ঘটায়নি। গ্যালিলিও ১৬৪২ সালে ৭৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।